সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যামেরা না, নিজের চোখে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য দেখার যে আনন্দ, অনুভূতি তা বোধহয় বলে বোঝানোর নয়। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বহু জায়গা। যা ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুনভাবে ধরা দেয়। পালটে ফেলে নিজের রূপ। সেই তালিকায় রয়েছে দেশের সাতটি হ্রদ। কি? ঘুরে দেখবেন ভাবছেন? তাহলে আর দেরি কেন? আজই জেনে নিন কোন কোন হ্রদ রয়েছে এই তালিকায়।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে প্যাংগং লেক। যা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪২৭০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। কোনও ঋতুতে নীল তো কোনও ঋতুতে পান্না সবুজ রং ধারণ করে এই লেক। মে-সেপ্টেম্বর মাসে এই লেকে বেড়াতে গেলে ঘন নীল রঙ দেখতে পাবেন। অক্টোবর থেকে মার্চ অবধি দেখতে পাবেন এই লেকের বরফের সৌন্দর্য।
উত্তর সিকিমের গুরুদংমার হ্রদ, ভূপৃষ্ঠ থেকে যা প্রায় ১৭০০০ উচ্চতায় অবস্থিত। শীতকালে এই হ্রদের রং পালটে হয় একেকবারে দুধ সাদা। গ্রীষ্মকালে তা ঘন নীল রং ধারণ করে। এপ্রিল থেকে জুন ও সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর, বছরের এই সময়ে ঘুরে আসতে পারেন গুরুদংমার লেক।
হিমাচল প্রদেশের কোলে লুকিয়ে থাকা চন্দ্রতাল হ্রদ যেন এক 'হিডেন জেম। ভোরে স্ফটিক নীল রং, দুপুরে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পান্না সবুজ ও দিনের পরন্ত আলোয় কালো রঙের হয়ে ওঠে এই লেক। জুনের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর হল এই হ্রদ ঘুরে দেখার সেরা সময়।
জম্মু ও কাশ্মীরের মানসবল হ্রদ বসন্তে এক্কেবারে পান্না রং ধারণ করেন। বর্ষায় এই হ্রদ ধারণ করে একেবারে বাদামি রং। মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অনায়াসে এই হ্রদ ঘুরে দেখতে পারেন।
সিকিমের আরও এক লেক তসোমগো লেক, যা শীতকালে একেবারে বাদামি রং ধারণ করে, বসন্তে হয় ফিরোজা রঙের আর গ্রীষ্মে সবুজ রং। এপ্রিল থেকে জুন এবং ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ঘুরে দেখে আসতে পারেন এই লেক।
মণিপুরের লোকটাক হ্রদও রয়েছে এই তালিকায়। বর্ষায় এই লেকের রং হয় ঘন নীল, শীতকালে হয়ে ওঠে শ্যাওলা সবুজ। নভেম্বর থেকে মার্চ হচ্ছে এই হ্রদে বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময়।
এই তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্রের লোনার ক্রেটার লেক। শোনা যায় পঞ্চাশ বছর আগে নাকি উল্কাপিণ্ডর আঘাতে তৈরি হয়েছিল এই হ্রদ। যা গোলাপি রং ধারণ করে। অক্টোবর থেকে মার্চ ও মে থেকে জুন হল এই হ্রদ ঘুরে দেখার সেরা সময়।
