সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রাম। বলা হয় ভগবান বিষ্ণু বিভিন্ন অবতারে জন্মই নিয়েছিলেন বিভিন্ন কারণে। রাম (Ram) হিসেবে জন্মগ্রহণের মূল কারণ ছিল লঙ্কাধিপতি কর্বুররাজ রাবণকে শাস্তি দেওয়া। তবে এরই পাশাপাশি সুশাসক ও প্রজাহিতৈষী এক রাজা হিসেবেও কিংবদন্তি হয়ে রয়েছেন রাম। 'রামরাজ্য' শব্দটি কার্যতই একটি মিথ হয়ে রয়েছে যুগ যুগ ধরে। তাই তো আজও সাড়ম্বরে পালিত হয় রামনবমী।
চলতি বছরের রামনবমী (Ram Navami 2024) আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার। এদিন সকলের নজর অবশ্যই থাকবে অযোধ্যার রামমন্দিরে। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর এই প্রথমবার সেখানে রামনবমী পালিত হবে। অবধারিতভাবেই এলাহি আয়োজন থাকছে। রামলালার কপাল উজ্জ্বল হবে সূর্য তিলকে। ১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ কেজির লাড্ডু পাঠানো হচ্ছে। যা প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের বিলি করা হবে।
শুধু অযোধ্যা নয়, দেশের আরও কয়েকটি স্থানে রয়েছে রামায়াণের ছোঁয়া। এর মধ্যে অন্যতম বিহারের সীতামারহি। বলা হয়, এটিই সীতার জন্মভূমি। আর এই ভূমির অন্যতম আকর্ষণ জানকী মন্দির। রামনবমীতে যা সুন্দরভাবে সাজানো হবে। ভিড় করবেন ভক্তরা। পর্যটকরাও চলে আসেন উদযাপনের অঙ্গ হতে।
[আরও পড়ুন: দিনমজুর থেকে শুটার! সলমনের বাড়ির হামলায় বারবার উঠছে বিশাল ওরফে কালুর নাম ]
তেলেঙ্গানার ভদ্রাচলমকে দক্ষিণ অযোধ্যাও বলা হয়। এখানকার সীতা রামচন্দ্রস্বামী মন্দিরে রামনবমীর এলাহি আয়োজন হয়। এদিন নাকি আমার রাম-সীতার 'কল্যাণম'ও (বিয়ে) হয়। উৎসবের আবহ থাকে চারদিকে।
রামেশ্বরম। হিন্দুদের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র একটি জায়গা। ভারতের কাছ থেকে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর নিকটতম বিন্দু। মনে করা হয়, এখান থেকে রামসেতু তৈরি করা হয়েছিল। রামেশ্বরমে রয়েছে শ্রী কোথান্ডা রামস্বামী মন্দির। সেখানেও রামচন্দ্রের বিবাহ উৎসব পালিত হয়। ভক্তরা উপবাস করেন। কথিত আছে এখানেই রাবণ বধের জন্য মহাদেবের আরাধনা করেছিলেন রামচন্দ্র।
কোয়েম্বাটোরের আরুলমিগু কোথান্দারমার মন্দিরেও ধুমধাম করে রামনবমী পালিত হয়। সকালে সূর্যদেবের আরাধনা করা হয়। শোভাযাত্রা হয়। পাঠ করা হয় স্তোত্র। ভক্তরা প্রসাদ হিসেবে পান ফল ও মিষ্টি।