সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির প্রিয় 'দিপুদা'। অর্থাৎ দিঘা, পুরী আর দার্জিলিং। এখন আবার শুধু দিঘা নয় মন্দারমণি, তাজপুরের মতো সৈকতেও পর্যটকদের ভিড় থাকে। তবে এই ভিড়ে যদি আপনি যোগ দিতে না চান। তার বদলে যদি চান সারিবদ্ধ ঝাউবন, ঝিঁঝির ডাক, নানা ধরনের পাখির কলকাকলি, বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকতের মাঝে একটু শান্তির সময় কাটাতে। তাহলে চলে যেতেই পারেন পূর্ব মেদিনীপুরের বাঁকিপুটে।
ছবি: সংগৃহীত
কী দেখবেন?
জোয়ারের সময় সমুদ্র অসামান্য। তবে ভাটার টানে সমুদ্র চলে যায় অনেক দূরে। তখন নিরালা সৈকতে শুধুই লাল কাঁকড়ার দাপাদাপি। ঘন ঝাউবন ঘেরা বিস্তৃত সৈকতে হাঁটতে বেশ লাগে। বেশ রোম্যান্টিক আবহ। সবুজের সমারোহে, ফেনিল সমুদ্র, নাগরিক সভ্যতা থেকে অনেক দূরে দূষণমুক্ত পরিবেশে মন-প্রাণ দুইই জুড়িয়ে যাবে।
ছবি: সংগৃহীত
ঝাউবন, সমুদ্র তো আছেই, সেই সঙ্গে বাঁকিপুটের আছে ঐতিহাসিক গুরুত্বও। দেখুন সমুদ্রের ধারে প্রাচীন বাতিঘর। হোটেল থেকে আধ কিলোমিটার মতো হেঁটে চলে যান ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই বাতিঘরের কাছে। ঘুরে আসুন পাঁচ কিলোমিটার দূরের বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত কপালকুন্ডলা মন্দির। এখান থেকে কিছু দূর এগলেই দরিয়াপুর লাইট হাউস। এই বাতিঘর থেকে চারপাশ দেখতে বেশ ভালো লাগে। ঘুরে নিতে পারেন পেটুয়াঘাটের দেশপ্রাণ মৎস্যবন্দরও। আর দিঘা থেকে এই জায়গার দূরত্ব পঞ্চাশ কিলোমিটারেরও কম। সোয়া এক ঘণ্টার মধ্যে সেখানেও পৌঁছে যেতে পারবেন।
কী ভাবে যাবেন?
বাস বা গাড়িতে গেলে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়ে বম্বে রোড ধরে পৌঁছে যান কোলাঘাট। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে একটু এগলেই হলদিয়া মোড়। সেখান থেকে নন্দকুমার পেরিযে কাঁথি মোড়। কাঁথি থেকে ধরুন জুনপুটের রাস্তা। জুনপুট পেরিয়ে বাঘাপুটের রাস্তা ধরলে পথেই পরবে বাঁকিপুট। কাঁথি থেকে বাঁকিপুটের দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার আর জুনপুট থেকে বাঁকিপুটের দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। এছাড়া তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, কাণ্ডারি এক্সপ্রেস বা দুরন্ত এক্সপ্রেসে এলে নামতে হবে কাঁথিতে। সেখান থেকে ভ্যানরিকশায় করে পৌঁছনো যায় বাঁকিপুটে।
কখন যাবেন, কোথায় থাকবেন?
সারাবছরই বাঁকিপুটের আবহাওয়ার থাকে মনোরম, তাই বছরের যেকোনও সময় পৌঁছে যাওয়া যায় বাঁকিপুটে। নিরালা এই সৈকতে থাকার জন্য আছে একাধিক জায়গা। এখানে মজুত রয়েছে সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধে।