অরূপ বসাক, মালবাজার: কোনও মানুষ নয়। ‘খুন’ হয়ে গিয়েছে একটি গাছ। ‘খুনি’ আরও একটি গাছ। আর সেই অপরাধে তাকে ১০০ বছরের জন্য গ্রেপ্তার করা হল। লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে ‘হত্যাকারী’ গাছটিকে। অবাক করা এমনই কাণ্ড ঘটল ডুয়ার্সের ফানসিটিতে। ‘খুনি’ গাছকে দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাচ্ছেন বহু পর্যটক।
গত শনিবার সকালে সকলের আসে ডুয়ার্সের ডায়না পাড়ের সানসিটি পর্যটন কেন্দ্রে একটি টুন গাছকে শিকলবন্দি করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী শেখ জিয়াউর রহমান ওই টুন গাছটিকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন বলেই দাবি। তাঁর দাবি, পল্লবিত হয়ে অন্য একটি গাছকে খুন করেছে ওই গাছটি। তা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন ওই পর্যটন ব্যবসায়ী। জিয়াউর রহমান পর্যটন কেন্দ্রের আকর্ষণ বাড়াতে এই কাজ করেছেন বলেই দাবি অন্যান্যদের।
[আরও পড়ুন: রামের পর দুর্গা আবেগে শান বিজেপির! এবার দুর্গাপুজোয় আর্থিক অনুদান কেন্দ্রের]
তবে জিয়াউর রহমানের দাবি, “এই প্রথম নয়, আজ থেকে ১২০ বছর আগেও বটগাছকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কয়েদ করা সেই গাছটি আজও পাকিস্তানে রয়েছে। একজন মানুষ যদি অপরাধ করে, তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তেমনই গাছ যদি অন্য গাছকে হত্যা করে নিজে বিকশিত হয় সেটাও তার অপরাধ। এজন্য গাছকে ১০০ বছরের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামী ১০০ বছর গাছটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এভাবেই গাছকে রক্ষা করতে হবে। তাহলেই আগামী দিনে মানুষ ওই গাছটির ইতিহাস জানতে পারবে।” তবে বিতর্ক নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ পর্যটকরা। কারণ, ডুয়ার্সের ফানসিটি উলটো বাড়ি, উলটো গাড়ি দেখতে ভিড় জমান বহু পর্যটক। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ‘খুনি’ গাছ। যা দেখতে ভিড় ক্রমশ বাড়ছে।