সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা এখন থাবা বসিয়েছে রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলেও। শুক্রবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছেন, এবছর ২১ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণ সভা করোনা পরিস্থিতির জন্য হচ্ছে না। কিন্তু এই শহিদ স্মরণে সভা মমতার রাজনৈতিক জীবনের উত্থানের সঙ্গী। সেই জনসভাতেই ছেদ পড়বে এতদিন পর! তাই এই পরিস্থিতিতে একুশে জুলাইয়ে দলের কর্মসূচি কী হবে তা ঠিক করতে ৩ জুলাই ভারচুয়াল বৈঠকে বসছে তৃণমূল। সেই বৈঠকে থাকবেন দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, জেলা সভাপতিরা। তাঁদের কাছ থেকে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের বদলে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রেখে কী কর্মসূচি গ্রহণ করা যায় তা জানতে চাইতে পারেন মমতা।
একুশের নির্বাচনের আর বাকি ৮ মাস। তার আগে একুশে জুলাইয়ে কর্মীদের চাঙ্গা করতে মমতা ভোকাল টনিক দেওয়া থেকে কি শেষপর্যন্ত বিরত থাকবেন? নাকি বিজেপির কায়দায় ভারচুয়াল শহিদ স্মরণ সভা করবেন? তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই একের পর এক ভারচুয়াল জনসভা করে রাজ্যের শাসকদলকে গোল দিয়ে চলেছে বিজেপি। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২১ জুলাই ‘সোজা বাংলায় বলছি’ নামে একটি কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারের মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন মমতা। আর গোটা কর্মসূচিই পরিচালনার গুরুদায়িত্ব রয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কাঁধে।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে এবছর বাতিল ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই যুব কংগ্রেসের তৎকালীন সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে মহাকরণ অভিযান হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ১৩ জনের মৃত্যু হয়। সেই কর্মসূচির মূল উদ্যোক্তা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তৃণমূল যুব কংগ্রেসই ২১ জুলাই শহিদ দিবসে সমাবেশের আয়োজন করে। যদিও তৃণমূলের তরফে এমন কোনও কর্মসূচির কথা ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ডেরেক ও’ব্রায়েনও এমন কর্মসূচির কথা অস্বীকার করেছেন।
[আরও পড়ুন: সুস্থতার রেকর্ড গড়েছে বাংলা, এবার মৃত্যু কমানোই লক্ষ্য রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের]
The post করোনার কোপে একুশের সমাবেশ, শহিদ দিবসের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে বৈঠকে বসছে তৃণমূল appeared first on Sangbad Pratidin.