বাবুল হক, মালদহ: এবার বেসুরো মালদহ (TMC) জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক বাবলা সরকার ওরফে দুলাল। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর কোনও অভিযোগ নেই বলেই জানিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন বাবলা সরকার? তাঁর কথায়, “দল আমাকে যোগ্য মনে করেনি। তাই সেকেন্ড ম্যান করে রেখেছে। সেনাপতি করেনি। কিন্তু মালদার বহু নেতার মার, অপমান আমি সহ্য করেছি। আমার বিরুদ্ধে অনেক কিছু করা হয়েছে। একটা সময় যখন মালদহের সব নেতা কংগ্রেসে চলে গিয়েছিল তখন আমাকে গুলি খেতে হয়েছিল।” তিনি জানিয়েছেন আরও কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। জানা গিয়েছে, বাবলা সরকারের এই ‘বেসুরো’ মন্তব্য কানে যেতেই মানভঞ্জনে রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে ফোন করেন। কলকাতার নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। যদিও ঠিক কী আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। এবিষয়ে মালদহের তৃণমূল সভাপতি বলেন, “বিষয়টা সুব্রত বক্সি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখবেন। তবে মর্যাদা দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্যি নয়।”
[আরও পড়ুন: জমির মালিকানা নিয়ে টানাপোড়েনে থমকে রেলের কাজ, প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধের ডাক]
উল্লেখ্য, তৃণমূলের প্রথম দিন থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন বাবলাবাবু। পাঁচবারের কাউন্সিলর তিনি। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ছিলেন একটা সময়। এছাড়াও জেলা তৃণমূল সভাপতি, তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি,যুব তৃণমূল সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন। কিন্তু কেন আচমকা দলের প্রতি এত বিদ্বেষ? তা জানার চেষ্টায় তৃণমূল।