সুমন করাতি, হুগলি: কোন্নগরে তৃণমূল নেত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল দলেরই কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই নেত্রী কোন্নগর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিরল। অভিযোগ প্রায় রাতে অভিযুক্ত যুবক তাঁকে ফোন করে উত্যক্ত করেন। অনেকবার বারণ করা পরেও তিনি কর্ণপাত করেননি। অবশেষে উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নেত্রী।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত মাস তিনেক আগে। কোন্নগর পুরসভার (Konnagar Municipality) পরিবহন দপ্তরে ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর অস্থায়ী কর্মী হিসাবে যোগ দেন। সেই সূত্রে পরিচয় হয় পুরসভার জলকল দপ্তরের কর্মী বিশ্বজিৎ মণ্ডল ওরফে বুচুর সঙ্গে। একই অফিসে কাজের সুবাদে ফোনে কথা হত তাঁদের। কিন্তু এর পরেই বাঁধে বিপত্তি। ওই নেত্রীর অভিযোগ বিশ্বজিৎ হোয়াটসঅ্যাপে, ফোন করে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন।
[আরও পড়ুন: সাঁতার কাটতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক! মৃত্যু সল্টলেকের কিশোরীর]
সেই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ স্ক্রিন শর্টও তুলে রাখেন প্রাক্তন কাউন্সিলর। এবিষয়ে কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাসের কাছে অভিযোগ জানান তিনি। ঘটনা জানার পর অভিযুক্ত বিশ্বজিতকে দুমাস সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান। তবে মে মাসের শুরুতে তিনি কাজে যোগ দেন। এর পর থেকেই প্রাক্তন কাউন্সিলরকে ভয় দেখাতে থাকেন অভিযুক্ত। আরও অভিযোগ তিনি চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ তাই কেউ কিছু করতে পারবে না বলে হুমকি দেন।
অবশেষে মঙ্গলবার উত্তরপাড়া থানায় (Uttarpara police Station) অভিযোগ দায়ের করেন তৃনমূল (TMC) নেত্রী। তিনি জানান, দুবছর আগে তাঁর স্বামী প্রয়াত হয়েছেন। ছেলেকে নিয়ে একাই থাকেন। পুরসভার পরিবহন দপ্তরে অস্থায়ী কাজে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে মানসিক নির্যাতন শুরু করেন অভিযুক্ত। এর ফলে তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন ওই নেত্রী। কোন্নগর চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, "পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক। আমার দলের কর্মী বলে তাঁকে ছাড় দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।"