সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪ আসনের উপনির্বাচনের পরই ত্রিপুরা তৃণমূলে ধাক্কা। দল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরলেন ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বাপ্টু চক্রবর্তী (Baptu Chakraborty)। রবিবার তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরেছেন বাপ্টু।
বছর খানেক আগে রাজ্যে তৃণমূল যখন প্রথম পা রাখে, তখনই কংগ্রেস (Congress) ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেন বাপ্টু। তারপর দলের বড় পদ পান। গত পুর নির্বাচনেও তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করেন। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া উপনির্বাচনে দলের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে তাঁর আপত্তি ছিল বলে সূত্রের দাবি। আসলে বাপ্টু কংগ্রেসেই ছিলেন। সুদীপ রায় বর্মণ (Sudip Roy Barman) কংগ্রেসে ফেরার পর থেকেই তাঁর কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তনের একটা জল্পনা ছিল। তাছাড়া উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। সেটাও তাঁর দলত্যাগের কারণ হতে পারে।
[আরও পড়ুন: কং বিধায়কদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার কাণ্ড: ফের সিআইডিকে তদন্তে বাধা অসম পুলিশের]
এদিন দলত্যাগের পর বাপ্টু অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল (TMC) বিজেপি বিরোধিতা করার নামে ত্রিপুরায় পা রাখলেও প্রকৃত অর্থে বিজেপি বিরোধিতা করছে না। অনেক রাজ্যে বিজেপির বি টিম হিসাবে কাজ করছে। তৃণমূলে থাকলে বিজেপিকে হারানো যেত না। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের সদ্যপ্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক বলছেন, কংগ্রেসের হাত ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলের জবাবে সন্তুষ্ট নয় ইডি! ফের হতে পারে জেরা]
যদিও বাপ্টু চক্রবর্তীর দলত্যাগকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস (Tripura TMC)। সেরাজ্যে তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, বাপ্টুর দলত্যাগে তেমন প্রভাব পড়বে না। ও মাঠে নেমে রাজনীতি করত না। রাজীবের বক্তব্য, এসব নেতারা পরপর দলত্যাগ করে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। যখন যে দলে গেলে নিজের আখের গোছানো যাবে তখন সে দলে যায়। এরা হাওয়া মোরগ। এরপর সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে ফের দল বদলাতে পারে।