প্রণব সরকার, আগরতলা: নৈশ কারফিউ ভেঙে বিয়েবাড়িতে পার্টি চলার অভিযোগে জেলাশাসকের অভিযানের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তদন্তের জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটির সদস্যরা হলেন সচিব কিরণ গিত্যে ও সচিব তনুশ্রী দেববর্মা। তাঁদের রিপোর্ট পাওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: নৈশ কারফিউ ভেঙে মাঝরাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান, বন্ধ ত্রিপুরার রাজপরিবারের বিয়েবাড়ি]
এই ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব নিজে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, তাঁর এই আচরণে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। কাউকে আঘাত করা তার উদ্দেশ্য নয়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক করার জন্য এবং কোভিড আচরণ বিধি মানার জন্যই তাঁর এই অভিযান। এদিকে পুরোহিতের গায়ে ধাক্কা দেওয়া এবং অতিথিদের মারধরের ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে প্রশাসনেও। শাসকদলেরই কয়েকজন বিধায়ক এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক নিজে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং বর ও বধূর বাড়িতেও গিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, এই ঘটনাকে কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। তিনি জেলাশাসক শৈলেশ যাদবকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব ক্ষমা চাওয়ার পরও এই ঘটনায় বিতর্ক থামছে না। যে দু’টি বিয়েবাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল সেগুলির মালিক রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন। তিনিও এই ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন। এদিকে রাজ্যে ক্রমেই করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছে। গত এক সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।