সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার বাম সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল সরকারি কর্মীদের প্রতি বঞ্চনা এবং কর্মসংস্থানের অভাব। বেতন কমিশন লাগু করে সরকারি কর্মীদের বেতন না বাড়ানোয় সেসময় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের মুণ্ডপাত করতে ছাড়েনি তৎকালীন বিরোধী নেতা বিপ্লব দেব। কিন্তু মাত্র মাস কয়েক মাসের মধ্যেই কার্যত উলটো অবস্থান নিল গেরুয়া সরকার। ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার পরই ত্রিপুরার বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত নিল, নতুন করে কাজে যোগ দেওয়া সরকারি কর্মীদের আর কোনও পেনশন দেওয়া হবে না। থাকবে না প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধাও।
[ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিলেই মিলবে জমি-বাড়ি, সন্ন্যাসিনীকে ‘টোপ’ যাজকের]
গত সপ্তাহে ত্রিপুরার অর্থ দপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে যে সমস্ত কর্মচারী স্থায়ীভাবে সরকারি কাজে যোগ দেবেন তাদের জন্য আর স্থায়ী কোনও পেনশনের ব্যবস্থা থাকবে না। প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধাও পাবেন না তাঁরা। গত ১ জুলাই থেকে যাঁরা যাঁরা নতুন করে সরকারি কাজে যোগ দিচ্ছেন তাঁদের ক্ষেত্রে লাগু হবে এই নয়া নিয়ম। পেনশনের পরিবর্তে ‘কন্ট্রিবিউটরি পেনশন স্কিম’-এর মাধ্যমে এককালীন একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে। তবে, তাঁর পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়। সরকারের যুক্তি, এর ফলে কর্মচারীদের পিছনে সরকারের বরাদ্দ অনেক কমানো যাবে। ২০০৬-০৭ সালে পেনশন খাতে রাজ্যের খরচ হত প্রায় ২৩৭ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ সালে পেনশন খাতে খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬০০ কোটি। ত্রিপুরার মতো রাজ্যের ক্ষেত্রে এই বিরাট অঙ্কের খরচ বহন করা মুশকিল।
[রোহিঙ্গাদের মতোই নিয়তি! কী পরিণতি হবে নাগরিকত্ব হারানো ৪০ লক্ষ ‘অসমবাসী’র?]
সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তৃণমূল ও সিপিএম। বিরোধীদের দাবি, ত্রিপুরার মানুষকে বিপুল কর্মসংস্থান এবং বেতনবৃ্দ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। তা তো হয়ইনি। উলটে সরকারি কর্মীদের সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। সরকারের অবশ্য দাবি, এই পদ্ধতি শুধু ত্রিপুরায় নয় গোটা দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে চালু আছে।
The post ত্রিপুরায় বাতিল সরকারি কর্মীদের পেনশন এবং পিএফ, বঞ্চনার অভিযোগ বিরোধীদের appeared first on Sangbad Pratidin.