সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সংসদে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বিরুদ্ধে। অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন বিল নিয়ে বলার সময় তেলেঙ্গানার (Telangana) গঠন নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবার থেকেই রাজ্যজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কে চন্দ্রশেখরের টিআরএস ও কংগ্রেস নেতারা। এরপরই বৃহস্পতিবার আনা হল স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব।
ঠিক কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী? মঙ্গলবার রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংসদে অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন বিলের কোনও আলোচনা না করেই ‘দ্রুত’ তা পাশ করিয়ে নেওয়ার জন্য। তিনি জানিয়েছিলেন, বিজেপি তেলেঙ্গানা গঠনের বিরুদ্ধে ছিল না। কিন্তু যেভাবে বিলটি লোকসভায় উত্থাপিত হয়েছিল দরজা বন্ধ করে এবং সেই সময় মাইক্রোফোনের তারও কেটে দেওয়া হয়। এমনকী কংগ্রেস নেতারা মরিচ স্প্রেও করেন বলে অভিযোগ মোদির।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিকে ভোট না দিলে কাশ্মীর-বাংলার মতো হবে উত্তরপ্রদেশ’, ভোটের দিনই বিতর্কিত মন্তব্য যোগীর]
তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। টিআরএস নেতারা দাবি করেন, এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। পোড়ানো হয় তাঁর কুশপুতুলও। পাশাপাশি নানা স্থানে মিছিল, বিক্ষোভ প্রদর্শন, কালো বেলুন ওড়ানোর মতো কর্মসূচিও নেওয়া হয়। টিআরএস কর্মীরা হাতে কালো ব্যাজ পরেছিলেন। এরপর বৃহস্পতিবার পেশ করা হল স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাবও।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হয় অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন বিল। এই আইন অনুসারে উত্তর-পশ্চিম অন্ধ্রপ্রদেশের ১০টি জেলা নিয়ে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়। মার্চের শুরুতেই তৎকালীন রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই সেটি গেজেটে প্রকাশিত হয়। ওই বছরের ২ জন আনুষ্ঠানিক ভাবে গঠিত হয় তেলেঙ্গানা রাজ্য। রাজধানী ঘোষণা করা হয় হায়দরাবাদকে।