সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব শুরুরই একটা শুরু থাকে। যেমন এই আগস্টের ৭ তারিখের বন্ধুত্বের দিন!
আসলে, বছরের একটা মাত্র দিনকে ক্যালেন্ডারে বন্ধুত্বের দিন বলে দেগে দেওয়া- সে তো প্রায় হালফিলের ব্যাপার। আধুনিক বৃত্তান্ত বললেই ঠিক হয়। কিন্তু, বন্ধুত্ব, সে অনেকটাই আদিম প্রবৃত্তি। একমাত্র সম্পর্ক যার নেপথ্যে কোনও কারণ নেই। মানুষের পৃথিবীর গণ্ডি ছাড়িয়েও যে ছিল, আছে এবং থেকেও যাবে। সভ্যতার ইতিহাস, পুরাণ, মহাকাব্য বার বার তাই এই সম্পর্কের জয়গান করতে কুণ্ঠা বোধ করেনি।
আজ বন্ধুত্বের দিনে তাই তাকানো যাক এই সম্পর্কের শুরুর দিকে। আগস্টের ৭ তারিখে মনে ফিরে আসুক পুরাণের, মহাকাব্যের সেই সাত বন্ধুত্বের গাথা যা একেবারে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শুরুর দিন থেকে বন্ধুর পাশে কী ভাবে থাকতে হয়, তা আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছে।
• বিষ্ণু আর শিব:
ভারতীয় পুরাণের দিকে তাকিয়ে যদি বন্ধুত্বের ইতিহাস এবং তার নিদর্শন খুঁজতে হয়, তবে সবার প্রথমে চোখ যাবে বিষ্ণু আর শিব দুই বিধাতার দিকে। সৃষ্টির ইতিহাস বলছে, শিব প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে। সে সময় পৃথিবী বলে কোনও কিছুরই অস্তিত্ব নেই। মাথার উপরে ছায়াপথ আর পায়ের নিচে জল- এই তখন সৃষ্টির অবস্থা। সেই অনাদি অনন্ত জ্যোতির্লিঙ্গ দেখে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহলী হয়ে পড়েন ব্রহ্মা এবং বিষ্ণু। তাঁরা সেই জ্যোতির রহস্যভেদে তৎপর হন। ব্রহ্মা রাজহংসের রূপ নিয়ে সেই জ্যোতির উৎস খুঁজতে যান উপরের দিকে এবং বিষ্ণু বরাহের রূপে নিচের দিকে খুঁজতে যান শেষ! এমন সময়ে ব্রহ্মার সঙ্গে দেখা হয় কেতকীর! সেই ফুল ঝরে পড়েছিল লিঙ্গের মাথা থেকে। কেতকীর কাছ থেকে রহস্য জেনে ব্রহ্মা যখন বড়াই করছেন, তখন স্বমূর্তিতে দেখা দেন শিব। এবং, মিথ্যা বড়াই করার জন্য ব্রহ্মার চারটি মাথার মধ্যে একটি কেটে নেন নিজের নখ দিয়ে। এবং, সেই সময় থেকেই বিষ্ণুকে পছন্দ হয়ে যায় তাঁর। বিষ্ণুর নম্র স্বভাব, সত্যবাদিতা তাঁকে মুগ্ধ করে। ভারতীয় পুরাণে এবং সভ্যতায় সেই প্রথম বন্ধুত্ব।
এর পর বারে বারে বিপদের দিনে, সুখের সময়ে দুই বন্ধু থেকেছেন একসঙ্গে। তাঁদের আলাদা করা যায়নি। শিব যখন ভস্মাসুরকে বর দিয়ে বিপদে পড়েছিলে, তখন তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বিষ্ণু। ভস্মাসুর শিবের কাছে বর পেয়েছিল, যার মাথায় সে হাত রাখবে, সে ভস্ম হয়ে যাবে। অসুর তখন শিবের মাথাতেই হাত রেখে তা পরীক্ষা করতে যায়। বিপদ দেখে বিষ্ণু তখন ধারণ করেন মোহিনী রূপ। নাচে-গানে ভস্মাসুরকে ভোলান, সেও ভুলে হাত রাখে নিজেরই মাথায়। এর পর তার জায়গায় পড়ে ছিল শুধু ছাই! আবার, শিব যখন প্রথমা পত্নী সতীর শোকে পাগলপারা, তাঁর মৃতদেহ নিয়ে তাণ্ডবে মত্ত, তখন বিষ্ণুই তাঁর সুদর্শন চক্রে সতীর দেহ ছিন্নভিন্ন করে শিবকে শান্ত করেন।
তেমনই বিষ্ণু যখন নৃসিংহ রূপে হিরণ্যকশিপুকে বধের বরে কিছুতেই শান্ত হচ্ছিলেন না, তখন শিব ধারণ করেন ঋষভের রূপ। এমন এক পাখি যার মাথা বাঘের মতো! সেই রূপে শিব পায়ে করে আকাশপথে তুলে নিয়ে যান নৃসিংহকে। বেশ কয়েক পাক ঘুরিয়ে, গায়ের জোরে তাঁকে পরাস্ত করে শান্ত করেন। একই ঘটনা ঘটে যখন বিষ্ণু ধারণ করেছিলেন বরাহ অবতার। সেই সময় বরাহ স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছিলেন। দেবলোকে ফিরছিলেন না পূর্ব রূপে। শিব তখন আবার ঋষভের রূপে ভয় দেখিয়ে তাঁর স্মৃতি ফিরিয়ে আনেন।
এবং, তাঁদের বন্ধুত্ব এতটাই প্রগাঢ় ছিল যে দুজনে মিশে গিয়েছিলেন একই শরীরে। সাধে কী আর পৃথিবীতে দুই প্রিয় বন্ধুকে হরিহর-আত্মা বলা হয়!
• কৃষ্ণ এবং সুদামা:
এর পরেই ভারতীয় পুরাণে যে বন্ধুত্ব নিদর্শন হয়ে আছে, তা কৃষ্ণ আর সুদামার। পিতা বসুদেব কংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কৃষ্ণকে রেখে আসেন গোকুলে। সেখান থেকেই এই বন্ধুত্বের শুরু। গরু চরানোর সময়, মাখন-ননী চুরির সময় এই সুদামাই ছিলেন কৃষ্ণের ডান হাত।
পরে কৃষ্ণ চলে গেলেন মথুরায়। তাঁর বন্ধুত্বের জন্য উদগ্রীব হলেন রাজারা। সুদামার তখন নিতান্তই দরিদ্র দশা। দু’বেলা খাওয়াও জোটে না। স্ত্রীর গঞ্জনায় কিন্তু-কিন্তু করে সুদামা তাই গোকুল থেকে রওনা হলেন মথুরার দিকে। যদিও বন্ধুর কাছে সাহায্যপ্রার্থী হওয়ার খুব একটা বাসনা তাঁর নেই!
মথুরার রাজদ্বারীরাও সুদামাকে পথের ভিখারি বলেই ভাবল! বিশ্বাসই করল না, কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা! হাসাহাসি করতে লাগল এবং সেই কথা ছড়িয়ে পড়ল রাজপুরীতে।
সুদামা তখন বাড়ির পথ ধরেছেন। মন বেশ খারাপ! এমন সময়ে শুনতে পেলেন, তাঁর নাম ধরে কে ডাকছে! ঘুরে দেখলেন, কৃষ্ণ খালি পায়েই ছুটতে ছুটতে বেরিয়ে এসেছেন রাজপ্রাসাদ থেকে। সুদামার আসার কথা তাঁর কানে যেতেই তিনি পাগলপারা!
এর পরের ঘটনা তাঁদের বন্ধুত্বের মতোই মধুর। কৃষ্ণ রাজপ্রাসাদে নিয়ে এসে সিংহাসনে বসালেন সুদামাকে। নিজের হাতে ধুইয়ে দিলেন তাঁর পা। তাঁর প্রিয়তমা পত্নী রুক্মিণীও নিজে হাতে খাবার এনে সেবা করলেন সুদামার। আর আমরা জানলাম, আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বা অহং- কোনও কিছুই বাধা হতে পারে না নিখাদ বন্ধুত্বে।
• কৃষ্ণ আর অর্জুন:
ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক কীভাবে পৌঁছে যায় বন্ধুত্বে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ কৃষ্ণার্জুন। তাঁদের নামটাও জুড়ে গিয়েছে একসঙ্গে।
সম্পর্কসূত্র বলছে, কৃষ্ণ অর্জুনের পিসতুতো দাদা। কৃষ্ণের পিতা বসুদেবের নিজের বোন পৃথা। রাজা কুন্তীভোজ তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন বলেই আমরা চিনি কুন্তী নামে!
একটা সময়ে কৃষ্ণ এবং অর্জুনের মধ্যে কোনও যোগাযোগই ছিল না। অর্জুনকে কৃষ্ণ প্রথম দেখেন দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভায়। দেখেই চিনতে পারেন। এবং, অর্জুনকে তাঁর পছন্দ হয়ে যায়। তখন কুন্তীর কাছে গিয়ে নিজের পরিচয় দেন তিনি। দু’জনের বন্ধুত্বের সেই শুরু।
কৃষ্ণ বুঝেছিলেন, অর্জুনের চিত্ত বেশ বিক্ষিপ্ত। তাঁর পথপ্রদর্শক দরকার। তাই সব সময় তিনি থেকেছেন অর্জুনের সঙ্গে। তাঁর সহায়তাতেই অর্জুন অগ্নির কাছ থেকে লাভ করেন গাণ্ডীব ধনুক আর অক্ষয় তূণীর। যা চিরতরে জুড়ে যায় যোদ্ধা অর্জুনের পরিচিতির সঙ্গে।
অর্জুনকে কৃষ্ণ এতটাই ভালবাসতেন যে সব বাধা উপেক্ষা করে তিনি মেনে নেন সুভদ্রার সঙ্গে অর্জুনের প্রেম। সারা ভারত, বিশেষ করে যাদবরা যখন গর্জে উঠেছে এই দুই ভাই-বোনের বিয়ে নিয়ে, তখন তাঁদের শান্ত করেন কৃষ্ণই! স্বীকৃতি দেন তাঁদের প্রেমকে।
আবার, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন যখন বিষাদযোগে আচ্ছন্ন, তখন কৃষ্ণই দূর করেন তাঁর সব দ্বিধা। তাঁকে উচিত পরামর্শ দেন। সারথি হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনের জয়ের সহায়ক হন। এবং তাঁদের এই সম্পর্ক থেকে ভারত শেখে, বন্ধু মানে পথপ্রদর্শকও!
• কৃষ্ণ আর দ্রৌপদী:
অনেকেই বলে থাকেন, নারী আর পুরুষ না কি কখনই বন্ধু হতে পারে না! কৃষ্ণ আর দ্রৌপদীর সম্পর্কের দিকে তাকালে কথাটা যে কতটা ভুল, তা মর্মে মর্মে বোঝা যায়।
শুরু থেকেই কিন্তু কৃষ্ণ আর দ্রৌপদী পছন্দ করতেন একে অপরকে। যদিও সেই পছন্দের মধ্যে কোনও কামভাবনা ছিল না। স্বভাবের মিল তাঁদের আকৃষ্ট করে পরস্পরের প্রতি। কৃষ্ণ নিজেই বলেছিলেন দ্রৌপদীকে, তোমার আর আমার গায়ের রং এক! মিল আছে নামেও! আমি কৃষ্ণ; তুমি কৃষ্ণা!
তাঁদের বন্ধুত্বের সেই শুরু! চাইলেই কৃষ্ণ যোগ দিতে পারতেন দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরে। তিনি যোগ দিলে অন্য কারও সঙ্গে দ্রৌপদীর বিবাহ হত না। কিন্তু, তিনি তা করেননি। স্বয়ম্বরে এসেছিলেন নিতান্ত দর্শক হয়ে। এও বুঝেছিলেন, দ্রৌপদীর একজন বন্ধু থাকা কতটা দরকার!
বাকিটা ইতিহাস! বস্ত্রহরণের সময় কৃষ্ণই দ্রৌপদীর লজ্জারক্ষা করেছিলেন। দুর্যোধন যখন দুর্বাসা ঋষিকে পাঠিয়ে বনবাসে অপমান করতে চেয়েছিলেন পাণ্ডবদের, তখনও দ্রৌপদীর সহায় হন কৃষ্ণই। অগ্নির কাছ থেকে দ্রৌপদী পেয়েছিলেন একটি পাত্র। সেই পাত্রের খাদ্য ততক্ষণ ফুরাত না, যতক্ষণ না দ্রৌপদীর খাওয়া হত। এটা জেনেই দুর্যোধন দ্রৌপদীর খাওয়া শেষ হলে পাঠিয়েছিলেন শিষ্যসমেত দুর্বাসাকে। এদিকে পাত্রে খাবার নেই! বিপদ বুঝে হাজির হন কৃষ্ণ। সেই পাত্র হাতে নিয়ে দেখেন, তাতে একটি মাত্র ভাতের দানা পড়ে আছে! সেটাই মুখে দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বাত্মা তুষ্ট হোক! আর দেখতে দেখতে পেট ভরে যায় জগতের সব ক্ষুধার্ত প্রাণীর! বিপদ বুঝে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন দুর্বাসা।
এছাড়া দ্রৌপদীর সম্মানরক্ষার্থে আরও একটা কাজ করেছিলেন কৃষ্ণ। প্রিয় বোন সুভদ্রাকে নিতান্ত গরিবের পোশাকে পাঠিয়েছিলেন দ্রৌপদীর কাছে। বুঝেছিলেন, অর্জুনের সঙ্গে সুভদ্রার বিয়েতে দুঃখ পেয়েছেন দ্রৌপদী। তাই মূল্যবান পোশাকে-গয়নায় সুভদ্রাকে তিনি সাজিয়ে দেননি। কৃষ্ণের এই সিদ্ধান্তে দ্রৌপদীর অহং রক্ষা হয়। সুভদ্রাকে তিনি গ্রহণ করেন হাসিমুখে। সাজিয়ে দেন নিজের গয়নায়! আর বুঝি, বন্ধুত্বের কোনও লিঙ্গ হয় না!
• সীতা আর সরমা:
আশ্চর্যের ব্যাপার, মহাকাব্যের কোনও নায়িকারই একজন ছাড়া বন্ধু নেই! দ্রৌপদীর যেমন কৃষ্ণ, সীতার তেমনই সরমা!
রাবণ যখন হরণ করে সীতাকে নিয়ে আসেন লঙ্কায়, তখন তাঁর দুঃখ বুঝেছিলেন একমাত্র বিভীষণের পত্নী সরমা। সরমা না থাকলে সীতা লঙ্কাপুরীতে অপমান আর উপহাসের মাঝে শান্তি খুঁজে পেতেন না। আর একটা সময়ের পর দুই নারীই এসে দাঁড়ান একই জায়গায়। বিভীষণ রামের শিবিরে যোগ দেওয়ায় স্বামীহারা হয়েছিলেন সরমাও। তাঁকেও তখন লঙ্কাপুরীতে শুনতে হচ্ছে গঞ্জনা। একমাত্র তখন সান্ত্বনা ছিল বন্ধুত্ব- সীতার সঙ্গে সরমার, সরমার সঙ্গে সীতার! এও প্রমাণিত হয়ে যায়, মেয়েরাই মেয়েদের সব চেয়ে বড় শত্রু নয়!
• শকুন্তলা, অনসূয়া আর প্রিয়ম্বদা:
শকুন্তলার কাহিনী নিয়ে এক কথা বলে মহাভারত, অন্য কথা বলে কালিদাসের লেখা। কিন্তু একটা জায়গায় দুই ভাষ্যই মিলে যায়- বন্ধুত্বে!
শকুন্তলার প্রাণের চেয়েও প্রিয় বন্ধু ছিলেন আশ্রমকন্যা অনসূয়া আর প্রিয়ম্বদা। জন্মের পর মা মেনকা ছেড়ে যান শকুন্তলাকে। বিয়ের পর চিনতে অস্বীকার করে স্বামী দুষ্মন্তও! কিন্তু, এই দুই বন্ধু কখনই শকুন্তলাকে ছেড়ে যাননি। শকুন্তলার নাম নিলেই তাই এই দুই নারীর নামও একসঙ্গেই উচ্চারিত হয়।
• কর্ণ আর দুর্যোধন:
বন্ধুকে যে কখনই ছাড়া যায় না, তা আমাদের শিখিয়ে গিয়েছে কর্ণ আর দুর্যোর্ধনের বন্ধুত্ব। কর্ণকে সূতপুত্র বা সারথির ছেলে, অর্থাৎ নিচু জাত বলে বিদ্রুপ করেননি একমাত্র দুর্যোধনই! কর্ণকে প্রথম দেখায় তাঁর এতটাই পছন্দ হয়ে গিয়েছিল যে তিনি অঙ্গরাজ্য দান করেন তাঁকে। সেই দুর্যোধন, যিনি কখনই সম্পত্তি হোক বা অধিকার- ছাড়তে নারাজ ছিলেন। তাঁর বন্ধুত্বেই অভিজাত সমাজে স্থান পান কর্ণ। তাই দুর্যোধনকে তিনি কখনই ছেড়ে যাননি। কুন্তী তাঁর মা, পাণ্ডবরা তাঁর ভাই- এই সত্য জানার পরেও! দুর্যোধনের সিদ্ধান্ত ভুল জেনেও তাই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তাঁর হয়ে লড়াই করেন কর্ণ। প্রাণও দেন! আর আমরা বুঝতে শিখি, নিঃশর্ত বন্ধুত্বের জন্য পরিবারকেও ত্যাগ করা যায়!
বন্ধুত্বের দিনে এই সব গাথা আবার ফিরে আসুক মনে। থেকে যাক বরাবরের মতো। নতুন করে আমরা বুঝতে শিখি বন্ধুত্বের মানে!
The post জানেন কি, ভারতীয় সমাজে বন্ধুত্ব শুরু হল কী ভাবে? appeared first on Sangbad Pratidin.