সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির চিরকালই পায়ের তলায় সরষে। সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়েন ব্যাগ কাঁধে। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা উড়ু-উড়ু মন নিয়েও বাড়িয়ে বসে থাকতে বাধ্য হন জার্নির ধকল সইতে না পেরে। কারও বা আবার গাড়িতে উঠলেই দমবন্ধ হয়ে আসে। কারও আবার গা গুলিয়ে ওঠে কিংবা বমির সমস্যা থাকে। অতঃপর নিস্তেজ সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে অনেকেই ভোগেন।
এই সমস্ত মানুষ আসলে ‘মোশন সিকনেস’-এর শিকার। চলন্ত গাড়ির ঝাঁকুনি বা বাইরের দৃশ্যের নিরন্তর পরিবর্তনের জন্য চোখ থেকে মস্তিষ্কে নানা সংকেত যায়। সেইসঙ্গে কানের পাঠানো সংকেতও মস্তিষ্কে জড়ো হয়। দুয়ের সংঘাতে ‘মোশন সিকনেস’ জাঁকিয়ে বসে। কীভাবে দূর করবেন এই সমস্যা?
১. ভ্রমণের সময়ে এবং তার আগে কী খাচ্ছেন, সেদিকে নজর দিন। অ্যালকোহল নৈব নৈব চ! অতিরিক্ত মদ্যপান, তার সঙ্গে এমন খাবার বা পানীয় যা আপনার সহ্য হয় না। সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত। তবে খালি পেটেও গাড়িতে উঠবেন না।
২. বমি-বমি ভাব কিংবা গা গোলানো এড়াতে তীব্র মশলার গন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৩. এমন কোনও সিটে বসবেন না, যাতে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি লাগে। বাসের পিছনের দিকে কিংবা চাকার ওপর তো একদমই নয়। বিমানসফরের সময়ে প্লেনের মাঝামাঝি সিট বুক করুন। আপনার যদি উচ্চতা থেকে দুর্বলতা থাকে, তাহলে উইন্ডো সিট এড়িয়ে চলুন।
৪. গাড়ি চলাকালীন বইপত্র ভুলেও পড়বেন না। কিংবা মোবাইলে সিরিজ, সিনেমা দেখলও মোশন সিকনেসের শিকার হতে পারেন।
৫. বাইরের ঠান্ডা হাওয়া আসতে জানলা দিয়ে। সুস্থবোধ করবেন। এছাড়াও কাছে লবঙ্গ, আদাকুচি, কমলালেবুর খোসা রাখতে পারেন। গা গোলালেই ঝটপট মুখে চালান দিন কিংবা শুঁকে নিন।