সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গরম। প্রচণ্ড রোদে নাজেহাল আপনি। ঠিক তেমনই চরম গরমে কষ্ট পাচ্ছে আপনার বাড়ির পোষ্যটি। এই সময়টা তাঁদের প্রতিও বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। কী করবেন? জেনে নিন বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।
চরম গরমে ডিহাইড্রেশনে ভোগে পোষ্যরাও। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গিয়ে মারাত্মক অসুস্থ হতে পারে তারাও।
এই সমস্যার আগে বেশ কিছু লক্ষ্ণণ দেখা যায় পোষ্যদের শরীরে। যা দেখে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রবল গরমে হিটস্ট্রোক শুধু মানুষের নয়, হতে পারে পোষ্যদের। টিক ফিভারের প্রকোপও দেখা যায় পোষ্যদের মধ্যে।
স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় লালা ঝরতে পারে। অন্য় সময়ে লালার যা ঘনত্ব হয়, তার চেয়ে ঘনত্ব বেশি হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কুকুরের নাক গরম হয়ে গেলে বা শুকনো মনে হলে জ্বর আসতে পারে, সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: গরমে ৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙল কলকাতা, আগামী সপ্তাহতেও চলবে তাপপ্রবাহ]
অত্যধিক গরম থেকে পোষ্যের ডায়রিয়া হতে পারে। অস্বাভাবিক ভাবে মলত্যাগ করলে, মলে রক্তের উপস্থিতি থাকলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। হিটস্ট্রোক হলে পোষ্যের মূত্রত্যাগের সমস্যা হয়। তাই নজর রাখুন পোষ্যর মূত্রের দিকেও।
ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে পোষ্য। অতিরিক্ত ঘুম হয়। দৌড়ঝাঁপ করতেও সমস্যা হয়। আপনার পোষ্য হঠাৎ চুপচাপ হয়ে গেলে বা অধিকাংশ সময় শুয়ে কাটালে ভাল করে পরীক্ষা করা দরকার। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আগেভাগে বেশ কিছু সতর্কতা নেওয়া গেলে, বাড়াবাড়ি সমস্যা ঠেকানো যাবে। গরমের সময় পোষ্যকে কোনওভাবেই বন্ধ গাড়ির মধ্যে রাখা যাবে না। খুব প্রয়োজনে রাখতে হলেও এসি চালিয়ে রাখতে হবে বা সব জানলা খোলা রাখতে হবে।
ঘরের এক কোণায় বাটিতে জল রাখতে হবে। পাখি হলে, খাঁচার মধ্যে জল রাখতে হবে। একটা খাওয়ার জন্য, অন্যটা স্নানের জন্য়। পাখির খাঁচার সামনে প্রয়োজনে ফ্যান চালাতে হবে।
রোদের মধ্যে পোষ্যকে নিয়ে না ঘোরাই ভাল। ভোরে অথবা সন্ধের পর পোষ্যকে হাঁটাতে হবে। ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে হাতের কাছে ওষুধ রাখতে হবে। যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যায়।