সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার বাঙালির দোলযাত্রা হলেও দেশজুড়ে হোলির উদযাপন কিন্তু সোমবার। রবিবার ভরা পূর্ণিমায় হোলিকা দহন করে সোমবার রঙের উৎসবে মেতে উঠবে দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষ। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে আজ ১২ মার্চ অত্যন্ত শুভদিন। বিকেলের পর থেকে অত্যন্ত ভাল সময়। মেনে চলুন এই আচার। কেটে যাবে বাধা-বিপত্তি…
১. আজ রাত ১২টার সময় কোনও গাছের নিচে ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালান। গাছটির চারপাশে সাত পাক ঘুরুন। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, ভাগ্যের সব বাধা কেটে যাবে।
২. হোলিকা দহনের সময় আগুন ঘিরে তিন বা সাত পাক ঘুরুন। সঙ্গে আগুনে আহুতি দিন চানা, মটর, গম। বিভিন্ন রোগভোগ থেকে মুক্তি পাবেন। লক্ষ্মীলাভও হবে। আগুনে ছিটিয়ে দিন কর্পূর। আশপাশ হবে জীবাণুমুক্ত।
৩. কাউকে আবির মাখানোর আগে মন্দিরে গিয়ে দেবতার পায়ে প্রথম আবির ছুঁইয়ে আসুন। মনে মনে সেরে নিন প্রার্থনাও। পূরণ হবে মনষ্কামনা।
৪. নিজের হাতে গোবরের ঘুঁটে তৈরি করে হোলিকার আগুনে দিন। কুনজর থেকে রক্ষা পাবেন।
৫. ন’টি লেবু দিয়ে মালা তৈরি করে ভৈরব মহারাজের গলায় পরান।
৬. একটি কালো কাপড়ে কালো তিল, সাতটি লবঙ্গ, তিনটি সুপারি, ৫০ গ্রাম সর্ষে এবং কিছুটা মাটি নিয়ে একটি পুঁটুলি বানান। নিজের মাথায়, গায়ে সাতবার ছুঁইয়ে নিন। এবার পুঁটুলিটি ফেলে দিন হোলিকার আগুনে।
৭. হোলিকা দহনের কিছুটা ভস্ম ঘরে রেখে দিন। সোমবার সকালে বাড়ির পুরুষদের কপালে ভস্মের তিলক পড়িয়ে দিন। মেয়েদের সেই ভস্ম ছোঁয়ান গলায়। খারাপ নজর থেকে রক্ষা পাবে আপনার পরিবার।
৮. অড়হর ডালের বড়া দইয়ে ভিজিয়ে, সঙ্গে জিলিপি। সাতজন গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করুন।
হোলিকার আগুন দিয়ে হেঁটে যান এই গ্রামের পণ্ডিত