সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: লোকসভা নির্বাচনের আর বাকি কমবেশি ৩০০ দিন। সেদিকে নজর রেখে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি (BJP)। একলপ্তে চার রাজ্যের রাজ্য সভাপতি বদলে ফেলল গেরুয়া শিবির। তাৎপর্যপূর্ণভাবে লোকসভার আগের এই সাংগঠনিক রদবদলে প্রাধান্য পেলেন অন্য দল থেকে আসা দলবদলুরা।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) বিজেপির নজর রয়েছে পাঞ্জাবে। শিখ অধ্যুষিত পাঞ্জাবে হিন্দু সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। সেদিকে নজর রেখেই সম্ভবত কংগ্রেস থেকে আসা সুনীল জাখরকে পাঞ্জাবের রাজ্য সভাপতি করল বিজেপি। রাজ্য সভাপতি বদল করা হল ঝাড়খণ্ডেও। সেরাজ্যে বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডিকে রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করেছে বিজেপি। ঘটনাচক্রে তিনিও দলবদলু। একটা সময় বিজেপি ছেড়ে নিজের দল গড়েছিলেন মারান্ডি। অন্ধ্রপ্রদেশে সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কিরণ কুমার রেড্ডিকে (Kiran Kumar Reddy) জাতীয় কর্মসমিতিতে আনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া প্রস্তুত! অমিত শাহর নয়া পদক্ষেপে জল্পনা]
তবে এদিন বিজেপির সবচেয়ে নজরকাড়া রদবদল হল তেলেঙ্গানায়। ভোটমুখী রাজ্যের প্রদেশ সভাপতি হিসাবে আনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) আস্থাভাজন জি কিষেণ রেড্ডিকে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে। সেরাজ্যের রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় সিংয়ের নেতৃত্ব নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছিল। এমনকী, তেলেঙ্গানায় বিজেপিতে ভাঙনও দেখা গিয়েছে। বস্তুত গত কয়েক সপ্তাহে তেলেঙ্গানায় ভালমতো শক্তিক্ষয় হয়েছে বিজেপির। সম্ভবত সেকারণেই সেরাজ্যে প্রদেশ সভাপতি বদল হল। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, এই জি কিষেণ রেড্ডি আবার এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁকে রাজ্য সভাপতি করার অর্থ, আসন্ন মন্ত্রিসভার রদবদলে তাঁকে মন্ত্রীপদ থেকে সরানো হবে।
[আরও পড়ুন: ‘ভূতুড়ে কর্মী’ এড়াতে রেলে এবার বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স]
হিমাচল-কর্ণাটকে হার এবং বিরোধী শিবিরের ঐক্য বিজেপিকে বেশ ভালমতোই নাড়িয়ে দিয়েছে। সম্ভবত সেকারণেই লোকসভার আগে সংগঠনে রদবদল শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। আগামী দিনে আরও বেশ কিছু রদবদল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।