ইন্দ্রনীল শুক্লা, নয়াদিল্লি: ভারতের চন্দ্র অভিযান নিয়ে সারা বিশ্বেই চলছে জোর আলোচনা। এই পরিস্থিতিতে একটি ট্যুইট ভাইরাল হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, হলিউডের নক্ষত্র পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের ২০১৪ সালে ‘ইন্টারস্টেলার’ বানাতে যা খরচ হয়েছিল, তার চেয়ে কম খরচে ভারত চন্দ্রযান বানিয়ে চাঁদে পাঠিয়েছে!
প্রসঙ্গত, ছবিটি ৮৭তম অ্যাকাডেমি পুরস্কারে চারটি বিভাগে মনোনীত হয়েছিল এবং শেষে এই এপিক সায়েন্স ফিকশন ফিল্ম সেরা ভিজুয়াল এফেক্টের জন্য অস্কার জিতে নেয়। সংবাদ সংস্থা ‘নিউজথিংক’ তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে লিখেছে, ‘চন্দ্রযান ৩-এর (৭৫ মিলিয়ন ডলার) বাজেট, ‘ইন্টারস্টেলার’ ছবির বাজেটের (১৬৫ মিলিয়ন ডলার) থেকেও কম। এ তো ভাবাই যায় না।’ আর এই পোস্টটিই তুলে রিপোস্ট করেছেন ট্যুইটারের মালিক এলন মাস্ক।
[আরও পড়ুন: কম খরচে ‘ব্লকবাস্টার’ চন্দ্রযান, ৭০০ কোটিতেও ডাহা ফেল! শিক্ষা নিন’ কটাক্ষের শিকার ‘আদিপুরুষ’]
মোটের উপর কম খরচে এমন চন্দ্র অভিযান করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ভারত। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর ভারত চন্দ্রযান ৩ মিশনের ঘোষণা করেছিল। ২০২১ সালেই এই মহাকাশযান উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু, সেই সময় থাবা বসিয়েছিল করোনাভাইরাস। আর সেই কারণেই দেরি হয় মিশনের। চন্দ্রযান ৩-এর এই মিশনের খরচ ৬১৫ কোটি টাকা। এই মহাকাশ মিশন এখনও পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে অন্যতম কম খরচের অভিযান।
মনে করা হচ্ছে, যদি ২০২১ সালে চন্দ্রযান ৩ মিশন সম্পন্ন হত সেক্ষেত্রে এর খরচ অপেক্ষাকৃত বেশি হত। ভারতের প্রথম আট লেন বিশিষ্ট রাস্তা যা দিল্লি এবং হরিয়ানাকে যুক্ত করছে তা তৈরি করতে খরচ হয়েছিল নয় হাজার কোটি। বলিউড এবং হলিউডের একাধিক ছবির বাজেটও চন্দ্রযান ৩-এর থেকে বেশি। শুধু তাই নয়, চন্দ্রযান ২ মিশনে খরচ হয়েছিল ৯৭৮ কোটি টাকা। রাশিয়ার লুনা ২৫ যা চন্দ্রকক্ষেই ভেঙে পড়েছে তার জন্য খরচ হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সালে ইসরো-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে শিবান বলেছিলেন, চন্দ্রযান ৩-এর আনুমানিক খরচ হতে চলেছে ৬১৫ কোটি। এর মধ্যে ল্যান্ডার বিক্রম, রোভার প্রজ্ঞান এবং প্রোপালশন মডিউলের খরচ ২৫০ কোটি টাকা এবং উৎক্ষেপণ থেকে শুরু করে চাঁদে অবতরণ পর্যন্ত খরচ প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা।