সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে অশক্ত শরীর, উপরন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরনো দশা বৃদ্ধা শুভলক্ষ্মীর। এদিকে বাড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি ঘোষণায় যেন হাতে চাঁদে পেলেন শুভলক্ষ্মী। পোঙ্গল উপলক্ষ্যে তামিলনাড়ু (Tamilnadu) সরকার রেশন দোকান থেকে প্রচুর উপহার দেওয়ার ঘোষণা করে। সেই উপহার আনতে ছুটেছিলেন অশীতিপর বৃদ্ধা। কিন্তু শরীর সঙ্গ না দেওয়ায় রাস্তায় পড়ে যান। উঠে রেশন দোকান যাওয়ার আর ক্ষমতা ছিল না তাঁর। এরপরই এক মানবিক দৃষ্টান্তের সাক্ষী রইল তামিলনাড়ুর মানুষ। হাতেটানা গাড়িতে চাপিয়ে তাঁকে রেশন দোকানে পৌঁছে দিল দুই যমজ কিশোর।
ঠিক কী ঘটেছিল? শুভলক্ষ্মী তামিলনাড়ুর কোঠামঙ্গলম গ্রামের বাসিন্দা। বয়স ৭০ বছর। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে সংসার। চেয়েচিনতে দিন চলে দুজনের। এমন সময় তিনি জানতে পারেন পোঙ্গল উৎসব উপলক্ষ্যে রেশন দোকান থেকে ২৫০০ টাকা নগদ, আখ ও বস্ত্র উপহার দেওয়া হচ্ছে। শোনামাত্র তিনি বেরিয়ে পড়েন। লাঠিতে ভর দিয়ে পায়ে হেঁটে রেশন দোকান যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অসুস্থ শরীরে অর্ধেক পথ যেতেই ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। এর মধ্যে পায়ে আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়েও যান তিনি। এরপর আর শরীর দেয়নি। শেষপর্যন্ত ক্লান্ত হয়ে রাস্তার ধারে বটগাছের তলায় ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘রোজ এক-দেড়শো মৃতদেহ না গুনলে ঘুম আসে না নীতীশের’, কটাক্ষ তেজস্বীর]
নীতীশ আর নীতীন- দুই যমজ ভাই। বয়স ৯ বছর। তাদের বাড়ির কাছেই গাছের তলায় ঘুমোচ্ছিলেন শুভলক্ষ্মী। পুরো বিষয়টা শুনে তাঁকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় দুই ভাই। হাতে টানা ভ্যানে চাপিয়ে তাঁকে রেশন দোকানে পৌঁছে দেয় তারা। সেখান থেকে জিনিসপত্র নিয়ে ফের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসে তারা। ভি নীতীশ ও ভি নীতীনের এই কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।