সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছিল টুইটার (Twitter)। সংস্থাকে বাঁচাতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হয়েছে। চালু করতে হয়েছে একাধিক নয়া নিয়ম। তবুও টুইটারের বিপদ একেবারে কাটেনি। রবিবার এই কথা ঘোষণা করলেন টুইটার কর্তা এলন মাস্ক (Elon Musk)। সাধারণ মানুষের কাছেও সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। মাস্কের মতে, টুইটারকে বাঁচাতে সকলের সাহায্যই খুব প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, টুইটার কেনার পর থেকেই মাইক্রো ব্লগিং সাইটের আয় বাড়াতে একাধিক বিতর্কিত পদক্ষেপ করেছেন মাস্ক। তার মধ্যে অন্যতম হল বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই।
এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার বেশ কয়েকটি টুইট করেন মাস্ক। সেখানেই তিনি জানান, “গত তিন মাস আমাদের জন্য খুবই কঠিন ছিল। টুইটারকে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর প্রাণপন চেষ্টা করেছি। একই সঙ্গে টেসলা ও স্পেসএক্সের যাবতীয় কাজ করতে হয়েছে। আশা করি আর কাউকে যেন এই যন্ত্রণা ভোগ করতে না হয়। এখনও অনেক সমস্যা রয়েছে টুইটারে। আগামী দিনে টুইটারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলের সাহায্য একান্ত প্রয়োজন।”
[আরও পড়ুন: কলকাতাবাসীর ডায়রিয়ার জন্য দায়ী মস্কোর পরজীবী এন্টামিবা! উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা]
পরে আরও একটি টুইট করে মাস্ক বলেন, “ছোটখাট বেশ কয়েকটি সমস্যা ছিল টুইটারে। কিছুটা সমাধান করে ফেললেও প্রাথমিক স্তরেই এখনও অনেকটা ত্রুটি রয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই সমস্যাগুলি মেটানোই টুইটারের একমাত্র প্রধান কাজ। ” এই টুইটের পর জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি টুইটারের নিয়মে বড়সড় কোনও বদল আনতে চলেছেন মাস্ক?
প্রসঙ্গত, মালিকানা বদলের আগে প্রায় তিন বছর লাভের মুখ দেখেনি টুইটার। মাইক্রো ব্লগিং সংস্থা কেনার পরেই নানা স্তরের কর্মীদের ছাঁটাই শুরু করেন মাস্ক। খরচ কমাতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রথা একেবারে তুলে দেন তিনি। অর্থের বিনিময়ে টুইটারে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট বানানোর নয়া নিয়ম চালু করেন। এছাড়াও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিত্বের ব্যান করা টুইটার অ্যাকাউন্ট ফের চালু করেন। একাধিক উপায়ে সংস্থার লাভের চেষ্টা করলেও ফল হচ্ছে না, তা স্পষ্ট মাস্কের নতুন টুইট থেকেই। তাই বাধ্য হয়েই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিকে সাধারণ মানুষের সাহায্য প্রার্থনা করতে হচ্ছে।