দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের আবাসিক হোমে নাবালকদের উপর যৌন নির্যাতনের (Physical harrassment) অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জনকে। ধৃতদের মধ্যে একজন হোমের অন্যতম কর্তা বলে খবর। আবাসিক হোমে এ ধরনের কেলেঙ্কারির খবর ছড়াতেই অত্যাচারিত নাবালকদের হোম থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র রাখা হয়েছে। অসুস্থদের ভরতি করানো হয়েছে হাসপাতালে।
শনিবার সোনারপুর (Sonarpur) থানা এলাকার ধামাইতলার হোমের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এখানেই একটি আবাসিক হোমে দিনের পর দিন যৌন অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ। অত্যাচারিত নাবালকদের পরিবারের অভিযোগ, তারা ওই হোমে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা এবং থাকার জন্য রেখেছিলেন। পরিবর্তে মাসে মোটা অঙ্কের টাকাও দিতেন। কয়েকদিন আগে এক নাবালক মাকে চিঠি লিখে গোটা বিষয়টি জানায়। সেই চিঠি পড়েই তার মা সঙ্গে সঙ্গে সোনারপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়।
[আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য, কোচবিহারে বিএসএফের গুলিতে নিহত ২ বাংলাদেশি]
অভিভাবকের অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। শনিবারই হোমে তল্লাশি চালিয়ে তারক মণ্ডল ও সুশোভন চক্রবর্তী নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। এদের একজন হোমের কর্তা, অপরজন কর্মী। আবাসিক হোমে গিয়ে ১০ জন নাবালককে জেরা করে অভিযুক্ত হিসেবে এদের নাম পান পুলিশ কর্তারা। এরপর অত্যাচারিত নাবালকদের চিকিৎসার জন্য অন্য একটি কমেন্ট হোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ শোরগোল পড়েছে অভিভাবক মহলে। সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। আতঙ্কে রয়েছে ছোট ছেলেমেয়েরাও। তবে সোনারপুর থানার পুলিশের আশ্বাস, যত দ্রুত সম্ভব, এই অপরাধের কিনারা করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কোনও অপরাধের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিশ আধিকারিক, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]
রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হোমগুলিতে একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে প্রায়শয়ই। সেসব ঘটনার তদন্তের পর দোষীরা গ্রেপ্তারও হয়েছে। কিন্তু এসব ঘটনা কিশোরদের মনের উপর চাপ ফেলে। তাদের ভবিষ্যত জীবনে এগনোর পথে সাময়িক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোনারপুরের বেসরকারি আবাসিক হোমের ঘটনাও তেমনই।