মলয় কুণ্ডু এবং সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় ফেরার পরই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল শুরু। রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের পর দুই জেলার জেলাশাসক (District Magistrate) বদল করল নবান্ন। বুধবার বিকেলেই জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। সূত্রের খবর, রাজ্যের ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটির পদে ফিরতে পারেন বিবেক সহায়।
শপথগ্রহণের পরই নবান্নে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশসক স্মিতা পান্ডেকে অপসারণের নির্দেশ দেয় নবান্ন। বদলে ওই পদে বসানো হল পূর্ণেন্দুকুমার মাজিকে। পূর্ণেন্দুবাবু আগে রাজ্য শিল্প নিগমের সচিব ছিলেন। সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী হিংসার খবর আসছিল পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই রদবদল করা হল বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় ভোটপ্রচারে গিয়ে জখম হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পরেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েলকে সরিয়ে স্মিতা পান্ডেকে নিয়োগ করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন : অসুস্থ মুকুল! অভিজ্ঞতার নিরিখে বাংলার বিরোধী দলনেতার দৌড়ে এগিয়ে শুভেন্দু]
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের পর পুরুলিয়ার জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠাল রাজ্য। বদলে ওই পদে পুনর্বহাল করা হল মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন রাহুল মজুমদারকে। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাল কাজের পুরস্কার স্বরূপ গত নভেম্বর মাসে তাঁকে সিএমও-র যুগ্ম সচিব পদে নিয়োগ করা হয়। বদলে এই জেলার জেলাশাসক পদে নিযুক্ত হন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, জেলার আরও দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং এক মহকুমাশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে দলীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে ভোট করানোর অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে ভোট মিটতেই রাজ্য পুলিশের ডিজির পদে ফিরলেন বীরেন্দ্র। পাশাপাশি এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ফেরানো হয়েছে জাভেদ শামিমকে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা অধিকর্তার দায়িত্বে ফিরতে পারেন বিবেক সহায়। বিরুলিয়ার ঘটনার পরই রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তার পদ থেকে সরানো হয়েছিল তাঁকে। এবার রাজ্যে তৃণমূল সরকার গড়তেই তাঁকে ওই পদে পুনর্বহাল করা হতে পারে।