সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের জঙ্গিদের নিশানায় মার্কিন ফৌজ (US Army)। এবার ইরাকে আমেরিকার সেনাঘাঁটির উপর টহল দেওয়া দু’টি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরাকের (Iraq) সেনাবাহিনী।
[আরও পড়ুন: ইউহানের আগেও করোনার মতো সংক্রমণ ছড়িয়েছিল চিনে! চাঞ্চল্যকর দাবি বিজ্ঞানী দম্পতির]
বাগদাদ জানিয়েছে, রবিবার অল্পের জন্য বড়সড় হামলার হাত থেকে রক্ষা পায় মার্কিন ফৌজ। ওই দিন ইরাকের পশ্চিমে মরভূমির মধ্যে অবস্থিত আইন-আল-আসাদ বায়ুসেনা ঘাঁটির উপর দু’টি ড্রোনকে উড়তে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে যায় ওই এয়ারবেসে মোতায়েন মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। মার্কিন সেনার অত্যাধুনিক ‘C-RAM’ সিস্টেম থেকে ছুটে যায় মিসাইল। নিখুঁত নিশানায় ক্ষেপণাস্ত্রের প্রচণ্ড আঘাতে ধরাশায়ী হয় ড্রোন দু’টি। ইরাকে আমেরিকার নেতৃত্বে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে অভিযানে মোতায়েন আন্তর্জাতিক মিত্রবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ওয়েইন মরোত্ত বলেন, “ড্রোন দু’টিকে ধ্বংস করার কয়েক ঘণ্টা আগে বাগদাদ বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালানো হয়। যদিও তা সফল হয়নি। এবং বিমানবন্দরটির কোনও ক্ষতিও হয়নি।”
এদিকে, রকেট হামলা ও ড্রোন অনুপ্রবেশের দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। যদিও এহেন ঘটনার জন্য বরাবর ইরানের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে এসেছে আমেরিকা। ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলিতে তেহরানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী শিয়া সংগঠনগুলি হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের। উল্লেখ্য, গত মে মাসেও আইন-আল-আসাদ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার আগে বাগদাদ বিমানবন্দরের ঘাঁটিতে তিনটি রকেট হামলা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের পর থেকেই দেশটিতে ইরান ও আমেরিকার বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। ইরাকে এখনও মার্কিন সেনার সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথগ্রহণের পর থেকে ইরাকে থাকা আমেরিকার সেনা-সম্পত্তির উপর হামলা বেড়েছে। গত কয়েক মাসে অন্তত ৩০বার হামলা হয়েছে মার্কিনি সেনা, দূতাবাসের উপর। এমনকী, আমেরিকা থেকে ইরাকের জন্য আসা পণ্য সরবরাহের গাড়িতেও হামলা চালিয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট জেহাদি সংগঠনগুলি।