সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসে বেনজির হিংসার সাক্ষী থাকল দেশ। লালকেল্লায় ‘অন্নদাতা’দের তাণ্ডবে রচিত হল ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্যতম কালো অধ্যায়। এই ঘটনার জেরে এবার কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন থেকে নাম প্রত্যাহার করল দুই কৃষক সংগঠন।
[আরও পড়ুন: শিক্ষক-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র আগরতলা, জারি ১৪৪ ধারা]
চাষীদের ট্র্যাক্টর মিছিলে হওয়া হিংসার নিন্দা করে বুধবার আন্দোলন থেকে নাম প্রত্যাহার করল ‘রাষ্ট্রীয় কিষান মজদুর সংগঠন’ ও ‘ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (ভানু)’। তাদের বক্তব্য, ট্র্যাক্টর মিছিলে রাজধানী দিল্লিতে যে বেনজির হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছেন আন্দোলনকারীরা, তারপর আর এই প্রতিবাদে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক বয়ানে কৃষকনেতা ভি এম সিং বলেন, “আমরা কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। তবে কৃষকদের অধিকার রক্ষায় আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। আন্দোলন চলতে পারে কিন্তু এভাবে নয়। হিংসা কখনও মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি আরও বলেন, “কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের নেতৃত্বে যে আন্দোলন চলছে তার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।” একই সুর শোনা গেল ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের প্রধান ভানুপ্রতাপ সিংয়ের গলায়। তিনি বলেন, “গতকাল দিল্লিতে যা হয়েছে তা নিয়ে আমি মর্মাহত। আমরা ৫৮ দিন ধরে চলা এই আন্দোলন প্রত্যাহার করছি।”
উল্লেখ্য, সাধারণতন্ত্র দিবসে অশান্তির পর বুধবার সকাল থেকেই থমথমে রাজধানী দিল্লি (Delhi)। এদিন সকাল থেকে বেনজির নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ছেয়ে ফেলা হয়েছে রাজধানী দিল্লিকে। আধাসেনা, CRPF -এর বহু জওয়ান এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে সিঙ্ঘু সীমান্তে কয়েক হাজার সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন। আজও সিঙ্ঘু, গাজিপুর, টিকরি, মুকারবা চক, নাঙ্গলোইয়ের মতো এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।আজ সকাল থেকেও দিল্লির লালকেল্লা এবং জামা মসজিদ মেট্রো স্টেশনের গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে, গতকালের ঘটনার পর বিক্ষোভকারী কৃষকরা অনেকটাই ছত্রভঙ্গ।আগামী দিনের বিক্ষোভের রূপরেখা ঠিক করতে সিঙ্ঘু সীমান্তে আজ নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসতে পারেন কৃষকনেতারা।এদিকে, কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আইএনএলডি দলের নেতা অভয় সিং চৌটালা।