সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলছে। তারই মাঝে জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে ইলিশ ধরার অভিযোগে আটক কাকদ্বীপের দুটি ফিশিং ট্রলার। আটক ৩১ জন মৎস্যজীবীও। বুধবারের এই ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বেগে মৎস্যজীবীদের পরিবারে। কীভাবে, কখন তাঁরা ছাড়া পাবেন, সেটাই এখন মূল চিন্তার বিষয় পরিজনদের কাছে। প্রশাসনিক সাহায্যের দাবি করেছেন তাঁরা।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার মরশুমে বঙ্গোপসাগরে টহল চলছিল বাংলাদেশের নৌবাহিনীর। বিএনএস শহিদ আখতার উদ্দিন নামে একটি জাহাজ নিযুক্ত ছিল এই কাজে। গত ১৪ অক্টোবর তার রাডারে ধরা পড়ে সন্দেহজনক দুটি মাছ ধরার ট্রলার। ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের পর নৌবাহিনী দাবি করে, ট্রলার দুটিতে ভারতীয় পতাকা ছিল। এর পর ওই জলসীমাতেই ট্রলার দুটিকে আটক করা হয়। পরে পটুয়াখালি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৩১ জন মৎস্যজীবী-সহ কাকদ্বীপের ওই দুটি ট্রলারকে। মৎস্যজীবীদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে কলাপাড়া থানায়।
সে দেশের পুলিশ ও নৌবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, মা ইলিশের রক্ষায় এখন মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। প্রতি বছর এ সময় এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আর সেই কারণে বঙ্গোপসাগরে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তরফে। টহল দেওয়ার সময়ে গত ১৪ তারিখ ভারতীয় পতাকা লাগানো দুটি সন্দেহভাজন ফিশিং ট্রলার চোখে পড়ে তাদের। মৎস্যজীবী-সহ তা আটক করা হয়। তবে এখনও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনও মামলা দায়ের হয়নি। তাই কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পুলিশ। আটক ৩১ জন মৎস্যজীবীর বিরুদ্ধেও সঠিক সময় মামলা হবে বলে জানান কলাপাড়া থানার ওসি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশী দেশে আটকে পড়া পরিবারের রোজগেরে সদস্যরা ফিরবেন কবে? অপেক্ষায় দিন কাটছে তাঁদের।
আসলে, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার এই জলসীমা নিয়ে বরাবরই জটিলতা রয়েছে দুদেশের মধ্যে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে যাওয়া মৎস্যজীবীদের দাবি, তাঁরা নিজেদের জলসীমায় মাছ ধরছিলেন। আর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দাবি, এই নিষেধাজ্ঞার মাঝেও মৎস্যজীবীরা তাঁদের জলসীমায় ঢুকেছিলেন ইলিশ ধরতে, যা বেআইনি কাজ। সেই কারণে মৎস্যজীবী-সহ ট্রলার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।