সুকুমার সরকার, ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিজড়িত গোপালগঞ্জে এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রী যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত একটি অডিও ভাইরালও হয়।
[আরও পড়ুন- বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে কটূক্তি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি খালেদার বিরুদ্ধে]
এরপর রবিবার সকাল থেকে ওই অধ্যাপকের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত বলছেন, তিনি রাজনীতির শিকার হয়েছেন। একই বিভাগের অন্য শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর বিভাগীয় প্রধান হওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা হছে। তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তাঁকে শিক্ষার্থী দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন- মাছ বাজারে চড়া দাম, বৈশাখী সকালে ইলিশ-পান্তা খাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা]
গোপালগঞ্জ শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সেখানে ৩৩টি বিভাগ ও তিনটি ইনস্টিটিউটে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ আক্কাস আলির বিরুদ্ধে দুই ছাত্রী যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলে গত ডিসেম্বর মাসে। এ ব্যাপারে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। কিন্তু, তদন্তের নামে অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর উত্তেজনা তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন- অস্ত্র উদ্ধারে বাধা, শরণার্থী শিবিরে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু ৩ রোহিঙ্গার]
নির্যাতিতা ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই অধ্যাপক কৌশলে দুই শিক্ষার্থী-সহ তিন শিক্ষার্থীর থিসিসের দায়িত্ব নেন। এরপর বিভিন্ন সময় ওই শিক্ষক তাদের বাড়িতে ও ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকতেন এবং শরীর স্পর্শ করতেন। মোবাইল ফোনে ডেকে এনে তাদের কুপ্রস্তাব দিতেন। পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়েই তিনি সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতেন। ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পরে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। বরং বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়।
এপ্রসঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান আবদুল কুদ্দুস মিঞা বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উপাচার্য প্রফেসর খোন্দকার নাসিরউদ্দিনও বলেন, “এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
The post বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর যৌন হেনস্তার অভিযোগে তোলপাড় গোপালগঞ্জ appeared first on Sangbad Pratidin.