অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: কাস্টমসের ব্যবহৃত গুদামে কাঠ (Wood) লুকিয়ে রাখার পর তা পাচারের চেষ্টা। তবে বিপুল টাকা লাভ করা আর হল না। তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল সাতজন। তার মধ্যে একজন কাস্টমস এবং আরেকজন জিএসটি অফিসার। তাদের কাছ থেকে প্রায় ২০-২৫ লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গোপন সূত্রে দিন তিনেক আগে কাঠ পাচারের পরিকল্পনার খবর পায় বনবিভাগ (Forest Department)। তাতেই সতর্ক হন আধিকারিকরা। জানা যায়, শিলিগুড়িতে কাস্টমসের ব্যবহৃত একটি গুদামে বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ লুকিয়ে রাখা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় পাচার করে বিপুল অর্থ উপার্জন। তবে তা রুখতে গোপনে নজরদারি শুরু করে বন বিভাগ। মঙ্গলবার রাতে ওই কাঠ শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় পাচারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু তাতেই ঘটল বিপত্তি। নির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক হাতেনাতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ উদ্ধার হয়েছে। আটক কাঠ বোঝাই লরি।
[আরও পড়ুন: খানাকুলে হেলিকপ্টার সফর বাতিল মমতার, ফোনে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিলেন Modi]
ধৃত ওই সাতজনের মধ্যে একজন কাস্টমস (Customs Officet) এবং একজন জিএসটি আধিকারিক। কাস্টমস আধিকারিকের নাম এ কে মাঝি এবং অন্যজন জিএসটি অফিসার দেবাশিষ ধর। জিএসটি অফিসার (GST Officer) দেবাশিষ ধর নানা কুকর্মের জন্য আগেই সাসপেন্ড হয়েছিল। বিপুল পরিমাণ কাঠ কোথায় পাচারের কথা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা, তাও তদন্তসাপেক্ষ। ধৃতদের জেরা করে প্রশ্নগুলির জট খুলবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।