জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: জে পি নাড্ডার (J P Nadda) আপ্ত সহায়ক সেজে বিধায়ককে ফোন। দলীয় অনুষ্ঠানের নামে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির আপ্ত সহায়কের নাম ফোন করায় সামান্যতম সন্দেহ হয়নি বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার। পর দিনই আরটিজিএস করে ২ লক্ষেরও বেশি টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তার পরই বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিল না। প্রায় ৯ মাস পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন দুই প্রতারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম অর্জুন ও প্রজাপতি। দুজনকেই গুজরাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Jaynagar Murder: জয়নগর খুনে ‘দুই মাথা’র হদিশ, রহস্য ঘনীভূত ‘নাসির-বড় ভাই’কে ঘিরে]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়াকে মার্চ মাসের ২০ তারিখে ফোন করে প্রতারণা চক্রের সদস্যরা। পরিচয় দেন জে পি নাড্ডার আপ্ত সহায়ক হিসেবে। একটি দলীয় অনুষ্ঠানের জন্য ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তাঁদের কথামতো পরদিন বিধায়ক নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা তাঁদেরকে পাঠিয়ে দেন। পরের দিনই বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক। ঘটনার তদন্ত নেমে গুজরাট থেকে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।