সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দু তরুণীদের অপহরণ করে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত মিলান আবদুল খালিক ওরফে মিয়ান মিঠু নামের এক মৌলবি। যিনি কিনা আবার পাকসেনার খুবই ঘনিষ্ঠ।
সূত্রের খবর, অপহৃতা দুই তরুণীর নাম একতা কুমারী এবং ধ্বনি কোহলাহি। বালোচিস্তানের বাসিন্দা একতা। পেশায় শিক্ষিকা। অভিযোগ, ইয়ার মহম্মদ ভু্ট্টো নামের এক যুবক একতাকে অপহরণ করে সিন্ধ প্রদেশে মিয়ান মিঠুর দরগায় নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। নাম পালটে রাখা হয় আয়েশা। তারপর ভুট্টোর সঙ্গে নিকাহ কবুল করানো হয়। একতার অপহরণের পরদিনই নাকি করাচির জুমা বাজার থেকে ধ্বনিকে অপহরণ করা হয়েছিল। একইভাবে মিয়ান মিঠু তাঁকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়ে আরেক মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে নিকাহ কবুল করান।
[আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালনে কমিটি মোদির, থাকছেন মমতা-সৌরভ-মিঠুনরা]
উল্লেখ্য, বেশ কিছু বছর ধরেই পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানোর অভিযোগ উঠছে। অভিযুক্ত মিয়ান মিঠু মৌলবির নামে প্রথম অভিযোগ উঠেছিল ২০১২ সালে। সেই সময় রিঙ্কলে কুমারী নামে এক হিন্দু তরুণীর নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ হিন্দু মেয়ের ধর্ম পরিবর্তনের অভিযোগ রয়েছে মিঠুর বিরুদ্ধে। কিন্তু পাকিস্তানের কোনও থানার তাঁর নামে FIR পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি। একতা এবং ধ্বনির ক্ষেত্রেও কোনও মামলা নথিভূক্ত হয়নি।
পাকিস্তানের সিন্ধ এলাকার প্রভাবশালী ভারচুণ্ডি দরগার পীর মিয়ান মিঠু। পাকসেনার সঙ্গে তাঁর খুব ভাল সম্পর্ক তো আছেই পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও বেশ পরিচিতি রয়েছে। শোনা গিয়েছে, বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন মিয়ান মিঠু। সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরে বেড়ান। পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য ছিলেন ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। সেই সময় সেই সময় লিবারেল পিপিপি’র প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। পরে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের সঙ্গে হাত মেলান। অভিযোগ, এভাবে হিন্দু তরুণীদের ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে নিকাহর আড়ালে আসলে তাঁদের ক্রীতদাসের মতো বিক্রি করে দেওয়া হয়।
