অর্ণব আইচ: বাংলাদেশ সীমান্তে ‘মাও করিডর’ তৈরি করেছিল ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীরা। সাতমাস আগে মাওবাদী নেতা প্রদীপ মণ্ডল ওরফে ‘ডাক্তার’কে গ্রেপ্তার করে আরও কয়েকজন মাওবাদী নেতার বিষয়ে তথ্য পান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। সেই সূত্র ধরেই মুর্শিদাবাদের সুতিতে তল্লাশি চালিয়ে দুই মাওবাদী নেতা মন্টু মল্লিক ও প্রতীক ভৌমিককে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ৭.৬২ পিস্তল ও ৬টি বুলেট।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মন্টু মল্লিক ওরফে রবি ওরফে ভজা দক্ষিণ শহরতলির সরশুনা এলাকার পাড়ুইপাড়া রোডের বাসিন্দা। প্রতীক ভৌমিক ওরফে কাঞ্চন ওরফে সাগর ওরফে অসীমের বাড়ি নদিয়ার ধানতলায়। এর আগেও প্রতীক কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে অস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। তখন গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয় যে, ওই যুবক মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এই ব্যাপারে অকাট্য প্রমাণ তখন পাননি গোয়েন্দারা। তাই তার উপর ছিল গোয়েন্দাদের নজর। তার উপর টানা নজরদারি ও তার মোবাইলের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে, ঝাড়খণ্ড ও এই রাজ্যের মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত প্রতীক।
[আরও পড়ুন: লাল পার্টির সংগ্রামে বিশ্বকাপ ছায়া, ‘বিরাট’ জার্সি গায়ে ‘ইনসাফ যাত্রা’য় মীনাক্ষী]
এসটিএফের সূত্র জানিয়েছে, সূত্র মারফৎ গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে যে, শনিবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে একটি গোপন আস্তানার দিকে যাচ্ছে দুই মাওবাদী নেতা। সেই খবরের ভিত্তিতেই পুলিশ সুতিতে হানা দেয়। সুতির আহিরহাট গ্রাম দিয়ে বাইকে করে যাওয়ার সময় অস্ত্র-সহ মন্টু ও প্রতীককে এসটিএফ গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে বাইক ও ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।