দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কার্বাইনের মতো আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পাকড়াও দুই যুবক। ধৃতদের কাছ থেকে ম্যাগাজিন এবং কার্তুজও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট ও রিষড়া থানার পুলিশ পাকড়াও করে তাদের। ধৃতদের সঙ্গে কত দূর বিস্তৃত, অন্য কোনও অস্ত্র কারবারি তাদের সঙ্গে জড়িত কিনা, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা ও রিষড়া থানার পুলিশ রিষড়ার (Rishra) ৩ নম্বর নিত্যানন্দ পল্লি এলাকায় হানা দেয়। সেখান থেকে দুই যুবককে পাকড়াও করা হয়। ধৃতেরা হল সৌমেন্দু দাস এবং গোবিন্দ দাস। তাদের কাছ থেকে কার্বাইনের মতো একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন এবং কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়।
[আরও পড়ুন: একাধিক পরীক্ষার পর অনুব্রত মণ্ডলকে ভরতির সিদ্ধান্ত SSKM-এর চিকিৎসকদের]
ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই দুই দুষ্কৃতীর সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের জাল কতদূর বিস্তৃত, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে অন্য কোনও অস্ত্র কারবারিরা যুক্ত রয়েছে কিনা, সে বিষয়টিও তদন্তসাপেক্ষ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বীরভূমের এক বেআইনি অস্ত্র পাচারকারীকে কলকাতার ময়দান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে উদ্ধার হয় অস্ত্র। সে সূত্র ধরেই দুমকায় হানা দিয়ে বেআইনি অস্ত্রের কারখানাটির (Arms Factory) সন্ধান পান এসটিএফের (STF) আধিকারিকরা। অস্ত্র কারখানা চালানোর অভিযোগে বিহারের মুঙ্গেরের এক মহিলা-সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত ব্যক্তিদের কলকাতায় নিয়ে আসার পরই জানা যায়, তাদের পান্ডা মহম্মদ সোনু সাহুদ। মুঙ্গেরের হজরতগঞ্জের বাসিন্দা সে। তাকে দেখেই চিনতে পারেন গোয়েন্দারাও। কারণ, ২০১৮ সালেও একবার গ্রেপ্তার হয় সে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে রিষড়া থেকে অস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার আরও দুই যুবক।