স্টাফ রিপোর্টার: এক পক্ষ অস্ত্র হাঁকাতে রাস্তায় নামতে বদ্ধপরিকর। একই পরিবারের অন্য পক্ষের সিদ্ধান্ত, নতুন করে কোনওমতেই অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা যাবে না। রামনবমীর (Ram Navami) ৪৮ ঘণ্টা আগে সংঘ পরিবারের দুই সদস্য সংগঠনের দুই বিপরীতমুখী সিদ্ধান্তে ধন্ধ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) মতো কড়া অনুশাসনের সংগঠনে এহেন দুই বিপরীত পথের কারণ কি নিছক সমন্বয়ের অভাব, না বিভ্রান্ত করার রাজনৈতিক কৌশল- তা নিয়ে চর্চা চরমে।
রাত পোহালেই রামনবমী। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে এবারের রামনবমী নিয়ে প্রবল তৎপরতা গেরুয়া শিবিরে। চিরকালীন প্রথা মেনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ নিজেরা সরাসরি কোনও শোভাযাত্রা বা পূজাপাঠের আযোজন না করলেও সংঘের হয়ে রামনবমী পালনে কোমর বেঁধেছে পরিবারের দুই সদস্য সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চ।
[আরও পড়ুন: ‘রাশিয়া-ইউক্রেনের লড়াই ২৪ ঘণ্টায় থামিয়ে দিতে পারি’, ট্রাম্পের দাবি ঘিরে শোরগোল]
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম মুখপাত্র সৌরীশ মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ‘‘এবার অস্ত্র ছাড়াই মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তবে প্রথাগতভাবে যেখানে দীর্ঘকাল ধরে সশস্ত্র মিছিল হয়ে আসছে, সেখানে তাই হবে। কিন্তু নতুন কোনও মিছিলে অস্ত্র থাকবে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘৩০ মার্চ রামনবমী উপলক্ষে দক্ষিণবঙ্গে ১৬০০-র বেশি শোভাযাত্রা হবে। হনুমান জয়ন্তী পর্যন্ত এই রাম মহোৎসবের কর্মসূচি চলবে। এবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ৬০ বছর। তাই এবার আড়ম্বরও বেশি।’’
অন্যদিকে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের দক্ষিণবঙ্গের সংগঠন সম্পাদক তাপস বারিক জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গের ৫০৫টি স্থানে অস্ত্র-সহ মিছিল হবে। সব মিলিয়ে ৩০ লক্ষ মানুষ মিছিলে পা মেলাবেন। এর মধ্যে মন্দিরবাজার থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর, চন্দননগর ও আসানসোলে ৭০ হাজার মানুষকে নিয়ে মিছিল হবে। শিলিগুড়িতে অন্তত দেড় লক্ষ মানুষ শামিল হবেন। তাপসবাবুর কথায়, রামনবমীতে অস্ত্রসহ মিছিল করাটাই প্রথা। সেটাই হবে। প্রশাসনকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: ফের শেয়ার বাজারে ধাক্কা, এবার আদানি গোষ্ঠীর সবক’টি শেয়ারে ধস নামল]
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দক্ষিণবঙ্গের প্রচার প্রমূখ বিপ্লব রায় জানিয়েছেন, ‘‘সংঘ একটি সেবামূলক সংগঠন। কোনওরকম ধর্মীয় উৎসব সংঘের কাজ নয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মতো আমাদের সদস্য সংগঠন এই কর্মসূচি পালন করে। তবে যেহেতু সংঘ আইন মেনে চলায় ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে সহায়তা করায় বিশ্বাস করে, তাই পুলিশ যদি সশস্ত্র মিছিলে অনুমতি না দেয়, সেক্ষেত্রে অস্ত্র ছাড়াই মিছিল করার কথা আমরা বলেছি।’’