রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মন্দারমণির সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু ঘটল দুই পর্যটকের। রবিবার দুপুর নাগাদ তাঁরা বেড়াতে এসেছিলেন মন্দারমণি (Mandarmani Sea)। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তাল ঢেউয়ে বেপরোয়াভাবে সমুদ্র উপভোগ করতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ খোয়ালেন দুই যুবক ও যুবতী। সন্ধে নাগাদ সমুদ্র থেকে তাঁদের উদ্ধার করেন কর্মরত নুলিয়ারা। দ্রুত বড়রাঙ্কুয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মন্দারমণি উপকূল থানা সূত্রে খবর, মৃত দুই পর্যটক হলেন কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকার বাসিন্দা স্বাধীন সরফরাজ (২৩) এবং ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা সৃষ্টি গুপ্তা (২২)। তাঁরা এদিনই দুপুর নাগাদ কলকাতা থেকে মন্দারমণির সমুদ্রতটে এসে হাজির হন। প্রথমে তাঁরা দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারেন। এরপর সমুদ্রস্নানে নামেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: বিপুল খরচে অট্টালিকা বানাচ্ছেন বীরভূমের ‘বাদাম কাকু’! কেমন হয়েছে বাড়িটি?]
সমুদ্রে অতিরিক্ত রোমাঞ্চের আশায় উত্তাল ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে যান দু’জনে। কিন্তু খুব বেশি সময় জলের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে পারেননি দুই পর্যটক। জলের ধাক্কায় ক্রমেই গভীরের দিকে চলে যেতে থাকেন তাঁরা। সঙ্গী বন্ধুদের চিৎকারে স্পিড বোট নিয়ে ছুটে আসে উদ্ধারকারী নুলিয়াদের দল। ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে দুই পর্যটককেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা।
এরপর তাঁদের দ্রুত বালিসাইয়ের বড়রাঙ্কুয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরই মন্দারমণি উপকূল থানা থেকে মৃতদের পরিবারে ঘটনার খবর পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে দেহদু’টিকে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, “পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সমুদ্রে নেমে গিয়েছিলেন। জলের ঢেউ সামলাতে পারেননি। তাই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।”