অর্ণব দাস, বারাকপুর: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার দুই বাসিন্দার। খারাপ আবহাওয়ার জেরে অক্সিজেনের অভাবে তাঁরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছ গত ১৯ তারিখ। কিন্তু দুর্গম রাস্তার জন্য অনেক পরে সেই দেহ উদ্ধার হয়েছে। বারাকপুরের বাড়িতে সেই খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া। অপরজনের বাড়ি বেলঘরিয়ায়। তাঁর মৃত্যুর খবর অবশ্য অনেক পরে পরিবারের কাছে পৌঁছয়।
বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরী মিডল রোডের বাসিন্দা ভাস্করদেব মুখোপাধ্যায়। তাঁর বয়স ৬১ বছর। ব্যাংকে চাকরি করতেন তিনি। গতবছরই অবসর নিয়েছেন। তবে ট্রেকিংয়ের (Trekking) নেশা কমেনি এতটুকুও। সেই ১৯৮৬ সাল থেকে ট্রেকিং করছেন ভাস্করদেব। এই নেশা কি সহজে কাটে? সেই টানেই বন্ধুদের সঙ্গে হিমাচল প্রদেশের মানালি হয়ে থামিঙ্গায় ট্রেকিংয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ১১ সেপ্টেম্বর। কিন্তু ট্রেকিং করে ফেরার সময় আচমকা অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। তার জেরেই মৃত্যু বলে জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, টুইটে মমতার প্রশংসা লুইজিনহোর]
বেলঘরিয়া (Belgharia) রাইফেল রেঞ্জ রোডের বাসিন্দা সন্দীপকুমার ঠাকুরতা তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর হিমাচল প্রদেশে যান ট্রেকিং করতে। এরই মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও সেসময় এই দুর্ঘটনার খবর পৌঁছয়নি সন্দীপের বাড়ির লোকের কাছে। সোমবার সকালে হিমাচল থেকে ফোন মারফত খবর দেওয়া হয়, খারাপ আবহাওয়ার জন্য অক্সিজেনজনিত সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে সন্দীপ ও তাঁর ট্রেকিংয়ের সহকারী বারাকপুরের বাসিন্দা ভাস্করদেব মুখোপাধ্যায়ের। ঘটনার খবর পেতেই পরিবার এবং এলাকার অঞ্চলজুড়ে শোকের ছায়া। ট্রেকিংয়ের নেশা যে এভাবে প্রাণ কেড়ে নেবে পরিবারের প্রিয়জনদের, ভাবতেই পারছেন না কেউ। এখন দেহ কীভাবে বাড়িতে এসে পৌঁছবে, তা নিয়ে চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা।