ধীমান রায়, কাটোয়া: দোলনায় বসে গল্প করার সময় দুই আদিবাসী কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ উঠল পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমান (Bardhaman) জেলার আউশগ্রামের ঘটনা। আউশগ্রামের শুখাডাঙা এলাকার ওই দুই কিশোরীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বননবগ্রাম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। রবিবার রাতে তাদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের নাম জানায় নির্যাতিতারা। তারপর থেকেই অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আউশগ্রামের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম শুখাডাঙা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তেরোর ওই দুই প্রতিবেশী কিশোরীর মধ্যে একজন আউশগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। অপরজন পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পাশের জরকাডাঙা গ্রামে পরিবারের সঙ্গেই একটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গিয়েছিল ওই দুই কিশোরী। খাওয়াদাওয়া সেরে দুই বান্ধবী গ্রামে ফিরে আসে। তারপর তারা খেলতে চলে যায় শুখাডাঙার পাশে একটি পুকুর পাড়ে। সেখানে এলাকার বাচ্চারা খেলাধুলো করে। পুকুর পাড়ে একটি হেলে পড়ে থাকা শুকনো গাছের কাণ্ডের উপর বসে দু’জন গল্প করছিল। তারপর সেখান থেকেই তাদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন : ‘স্বজনহারাদের কী দিয়েছেন?’, নন্দীগ্রাম কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের]
নির্যাতিতার বাবা বলেন, “রবিবার সন্ধে পর্যন্ত মেয়ে ঘরে না ফেরায় আমি তাকে খুঁজতে যাই। পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখি, আমার মেয়ে ও তার বান্ধবী কান্নাকাটি করছে। তখন ঘটনার কথা খুলে বলে। ওরা উঠতে পারছিল না। তারপর দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।” দুই নির্যাতিতা কিশোরী পুলিশকে জানায়, শুখাডাঙা গ্রামের পাঁচ যুবক তাদের জোর করে তুলে জঙ্গলের ভিতর নিয়ে যায়। তারপর তারা ধর্ষণ করে। জানা যায়, পাঁচ জনের বয়স ২৪- ২৬ বছরের মধ্যে। একজন বিবাহিত। বাকিরা অবিবাহিত। পুলিশ তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে।