প্রণব সরকার: চাঁদে জমি কিনে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ত্রিপুরার দুই যুবক সুমন দেবনাথ ও চম্পক দেবনাথ। বহুদিন ধরে দেখা স্বপ্ন, পূরণ হওয়ায় দুই যুবকই দারুণ খুশি। তাঁদের কথায়, চাঁদ যেন সত্যিই হাতে পেলাম!
দক্ষিণ জেলার একেবারে প্রান্তিক শহর সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের নয় নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কাঁঠালছড়ি এলাকার বাসিন্দা সুমন দেবনাথ। পেশায় গৃহশিক্ষক। সোমনাথ জানান, সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে প্রথম জানতে পারেন চাঁদে জমি কিনছে মানুষ, এরমধ্যে বেশ কয়েকজন তারকাও নিজেদের নামে জমি কিনেছেন। সেই থেকে আগ্রহ। এর পর শুরু করেন খবর নেওয়া। অবশেষে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বপ্ন বাস্তব হয়। ইন্টারন্যাশনাল লুনার সোসাইটি থেকে অনলাইনে চাঁদে জমি কেনেন সোমনাথ। তাঁর কথায়, চাঁদে এক একর জমি কিনতে খরচ পড়েছে ৬ হাজার টাকা।
চাঁদে জমি কিনে কী করবেন সোমনাথ?
তিনি জানিয়েছেন, শুধু আগ্রহ থেকেই এই জমি কেনা। তবে কোনদিন চাঁদে না যেতে পারলেও, তা নিয়ে কোনও আফশোস নেই সোমনাথের। তাঁর ধারণা, বিজ্ঞানীরা যেভাবে গবেষণা করছেন, তাতে আশা করা যায় ভবিষ্যতে মানুষও চাঁদে অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারে। আর যদি মানুষ চাঁদে যেতে পারেন তাহলে তিনি নিশ্চয়ই যাবেন। চাঁদে জমি কেনার পর কাউকে প্রথমে কিচ্ছুটি জানাননি সোমনাথ। পরে অবশ্য উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি তিনি। চাঁদে জমি কেনার গল্প নিজেই জানিয়েছেন বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতদের।
[আরও পড়ুন: বারুইপুরে দেখা মিলল বিরল প্রজাতির রাজহাঁসের, ছবি তুলতে হুড়োহুড়ি]
সোমনাথের এই কীর্তি দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন ত্রিপুরার আরেক যুবক চম্পক দেবনাথ। পেশায় তিনি মোটর মেকানিক। ত্রিপুরার মোহনপুর মহকুমার তুলাবাগান এলাকার বাসিন্দা চম্পক ও তাঁর ভাই মিলে তিন একর জমি কিনেছেন চাঁদে। খরচা পড়েছে ১৩৯ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১০ হাজার টাকা। এই বিষয়ে চম্পকের ভাই জয়ন্ত দেবনাথ জানান, তার দাদার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন প্রথাগত জীবনের বাইরে গিয়ে অন্য কিছু করা, যার মাধ্যমে অন্যান্যদের নজরকাড়া যায়। তাই হঠাৎ করে তার নজরে আসে সাধারণ মানুষও চাঁদে জমি কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। তাই চম্পকও ঠিক করলেন চাঁদে জমি কিনে জনপ্রিয় হবেন। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। এই মুহূর্তে সোমনাথ ও চম্পককে নিয়ে আলোচনায় মগ্ন গোটা ত্রিপুরা।