shono
Advertisement

Breaking News

২৪ ঘণ্টায় নির্মূল হতে পারে করোনা! মিলেছে মোক্ষম অস্ত্রের সন্ধান, দাবি মার্কিন গবেষকদের

ঠিক কী জানিয়েছেন গবেষকরা?
Posted: 09:00 AM Dec 07, 2020Updated: 02:47 PM Dec 07, 2020

গৌতম ব্রহ্ম: এক দিন, এক রাত। ঘড়ি ধরে চব্বিশ ঘণ্টা। তার মধ্যেই করোনার (Coronavirus) মূলসুদ্ধ নিকেশ! এমনই মোক্ষম এক অস্ত্রের হদিশ দিলেন মার্কিন গবেষকরা। যার নাম মলনুপিরাভির।

Advertisement

গবেষকদের দাবি, ইনফ্লুয়েঞ্জায় ব্যবহৃত এই ‘ব্রড স্পেকট্রাম অ্যান্টিভাইরাল’-ই করোনা চিকিৎসায় দারুণ সাফল্য পেয়েছে। প্রতিরোধক হিসাবেও আশা জাগিয়েছে। অর্থাৎ, এই ওষুধ খেলে করোনা রোগীর সংস্পর্শে এলেও কোভিড হবে না বলে দাবি করেছেন আমেরিকার জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেসের একদল বিজ্ঞানী। দলের প্রধান ডা. রিচার্ড প্লেম্পারের পর্যবেক্ষণ, এ পর্যন্ত করোনা চিকিৎসায় যতগুলি ওষুধ প্রয়োগ হয়েছে তার মধ্যে এটাই সেরা। করোনা মোকাবিলায় এটি গেমচেঞ্জার হয়ে উঠবে। প্লেম্পারদের গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি ‘নেচার মাইক্রোবায়োলজি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ফেরেটের উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল এই ওষুধ। দেখা গিয়েছে, ইঁদুরের মতো দেখতে জন্তুগুলি সুপার স্প্রেডার’ হওয়া সত্ত্বেও করোনা ছড়াতে পারছে না। ২৪ ঘণ্টাতেই করোনার বিজয়রথ আটকে দিচ্ছে এই ম্যাজিক ড্রাগ।

[আরও পড়ুন: অতিমারী মোকাবিলায় রক্ষাকবচ শরীরচর্চাই, বলছেন WHO’র বিশেষজ্ঞরা]

আপাতত অ্যানিম্যাল ট্রায়াল শেষ করে শুরু হয়েছে হিউম্যান ট্রায়াল। ফেজ ওয়ান শেষ। ফেজ টু ও থ্রি ট্রায়াল চলছে জোরকদমে। তবে ফলাফল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। গবেষণাপত্রটি উদ্ধৃত করে ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানিয়েছেন, এই ওষুধে ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে উঠছে ফ্লু-এর ওষুধ হাইড্রক্সিসাইটিডিন নামে একধরনের জৈব রাসায়নিক রয়েছে যা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বংশবিস্তার ঠেকাচ্ছে। সেই কারণেই মিলছে সাফল্য।

প্লেম্পারের প্রেসক্রিপশন, দিনে দু’টো করে খেলেই হবে। তাতেই বাগে আনা যাবে শরীরে ঢুকে পড়া মারণ ভাইরাসকে। আর যাঁরা পজিটিভ রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরাও নেগেটিভ থাকবেন এই ওষুধ খেলে। সিদ্ধার্থবাবু জানালেন, কোভিড চিকিৎসায় ফ্যাভিপিরাভির বা রেমডিসিভির ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু, এই ওষুধগুলি সবই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। সেখানে মলনুপিরাভির হল ‘ওরাল ড্রাগ’। কোনও টক্সিসিটি বা সাইড এফেক্ট নেই। গবেষকদের দাবি, এই ড্রাগ ‘স্পেন্টেনিয়াস টটোমেরিক ইন্টারকনভার্সন’ করে ভাইরাসের আরএনএ-র সাইটোসিন বা ইউরাসিলের সঙ্গে জুড়ে যায়। এবং আরএনএ-র মিউটেশন করায়। যাতে ‘ভাইরাল এরর ক্যাটাস্ট্রফি’ তৈরি হয়। এর ফলে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ভাইরাস তৈরি হতে পারে না। যতদিন না টিকা আম জনতার জন্য সহজলভ্য হচ্ছে ততদিন এই ওষুধকেই করোনা চিকিৎসা ও মোকাবিলায় ব্যবহার করা যেতে পারে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই করোনার ছড়ানোর ক্ষমতা হারাবে পজিটিভ রোগী। দেহের অভ্যন্তরেও নতুন করে আর বংশবিস্তার করতে পারবে না মারণ ভাইরাস।

হাইড্রক্সিসাইটিডিন নামে একধরনের জৈব রাসায়নিক রয়েছে যা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বংশবিস্তার ঠেকাচ্ছে। সেই কারণেই মিলছে সাফল্য। প্লেম্পারের প্রেসক্রিপশন, দিনে দু’টো করে খেলেই হবে। তাতেই বাগে আনা যাবে শরীরে ঢুকে পড়া মারণ ভাইরাসকে। আর যাঁরা পজিটিভ রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরাও নেগেটিভ থাকবেন এই ওষুধ খেলে।সিদ্ধার্থবাবু জানালেন, কোভিড চিকিৎসায় ফ্যাভিপিরাভির বা রেমডিসিভির ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু, এই ওষুধগুলি সবই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। সেখানে মলনুপিরাভির হল ‘ওরাল ড্রাগ’। কোনও টক্সিসিটি বা সাইড এফেক্ট নেই। গবেষকদের দাবি, এই ড্রাগ ‘স্পেন্টেনিয়াস টটোমেরিক ইন্টারকনভার্সন’ করে ভাইরাসের আরএনএ-র সাইটোসিন বা ইউরাসিলের সঙ্গে জুড়ে যায়। এবং আরএনএ-র মিউটেশন করায়। যাতে ‘ভাইরাল এরর ক্যাটাস্ট্রফি’ তৈরি হয়। এর ফলে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ভাইরাস তৈরি হতে পারে না। যতদিন না টিকা আম জনতার জন্য সহজলভ্য হচ্ছে ততদিন এই ওষুধকেই করোনা চিকিৎসা ও মোকাবিলায় ব্যবহার করা যেতে পারে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই করোনা ছড়ানোর ক্ষমতা হারাবে পজিটিভ রোগী। দেহের অভ্যন্তরেও নতুন করে আর বংশবিস্তার করতে পারবে না মারণ ভাইরাস।

[আরও পড়ুন: করোনা আবহেও শীতকালে কীভাবে সুস্থ রাখবেন শরীর-মন? রইল কিছু সহজ টিপস]

বিঃ দ্রঃ- সম্প্রতি ‘নেচার মাইক্রোবায়োলজি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণার তথ্য অনুযায়ী এই প্রতিবেদন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement