shono
Advertisement

প্রয়াত আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট জায়েদ আল নাহিয়ান, আরব জগতে এক ব্যতিক্রমী যুগের সমাপ্তি

ইজরায়েলের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি।
Posted: 05:00 PM May 13, 2022Updated: 05:04 PM May 13, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। ২০২০ সালে মার্কিন পৌরহিত্যে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এই চুক্তির মাধ্যমে কূটনৈতিক স্তরে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল আরব দেশগুলি। সেই চুক্তি রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জায়েদ আল নাহিয়ান। আজ থেকে চল্লিশ দিন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শোক চলবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে।

Advertisement

প্রেসিডেন্টস অ্যাফেয়ার মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী চল্লিশ দিন অর্ধনমিত থাকবে দেশের জাতীয় পতাকা। তিন দিন বন্ধ থাকবে সরকারি এবং বেসরকারি সমস্ত কার্যক্ষেত্র। জানা গিয়েছে, ৭৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে জায়েদ আল নাহিয়ানের (Zayed Al Nahyan)। ২০১৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তারপরেই তাঁর ক্ষমতার অনেকটাই দিয়ে দেওয়া হয় আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ আল নাহিয়ানের হাতে।

[আরও পড়ুন: ফাঁস চিনের গোপন নথি, প্রকাশ্যে উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতনের ভয়াবহ ছবি]

আরব আমিরশাহীর ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন জায়েদ। তাঁর আমলেই মধ্য প্রাচ্যে অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসাবে মানচিত্রে উঠে আসে আরব। ব্যবসা এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও দেশকে বিশ্বের সেরাদের আসনে বসিয়েছিলেন তিনি। তবে সম্ভবত তাঁর সেরা কীর্তি ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া। অব্রাহাম অ্যাকর্ডস চুক্তির মাধ্যমে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল আরব। ইরানের দাপট কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে শান্তিপূর্ণ এই চুক্তির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল ইরান। সেই সময়ে আরবে হামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল তেহরান। ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের বিবাদ বহুদিনের। তার প্রেক্ষিতে এই চুক্তিকে প্যালেস্তাইনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করেছিল ইরান। উল্লেখ্য, কয়েক দশকের সংঘাতে ইতি টেনে মিশর ও জর্ডনের পর আরব দুনিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এর ফলে তেল আভিভের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন মেনে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করার লাইসেন্স পেয়েছিল আবু ধাবি। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং আবু ধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ আল নাহিয়ান এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, “এই ঐতিহাসিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রযাত্রায় সাহায্য করবে।”

[আরও পড়ুন: করোনায় ‘প্রথম’ মৃত্যু উত্তর কোরিয়ায়, বাধ্য হয়ে মাস্ক পরলেন কিম জং উন

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement