সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস রচনা করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)। মঙ্গলবার রাতে মঙ্গলের (Mars) কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করল তাদের মহাকাশযান। এটাই পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে কোনও আরব দেশের প্রথম মহাকাশ অভিযান। আর প্রথম অভিযানেই এমন সাফল্যে তৈরি হল ইতিহাস। গত সাত মাস ধরে ৩০ কোটি মাইল পথ পাড়ি দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্যে সফল হল মহাকাশযান ‘আমাল’। প্রসঙ্গত, আরবি এই শব্দের অর্থ ‘আশা’। আশাপূরণের লক্ষ্যে যে তারা অনেকটাই এগিয়ে গেল তা এদিনের সাফল্য থেকে পরিষ্কার।
মঙ্গলে বহু অভিযানই ব্যর্থ হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৬০ শতাংশ অভিযানই কোনও না কোনও কারণে সাফল্যের মুখ দেখেনি। ফলে টেনশন ছিলই। শেষ পর্যন্ত আমাল সফল ভাবে মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে পড়ার পরই উল্লাসে ফেটে পড়েন দুবাইয়ে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দপ্তরের কর্মীরা। তার আগের মিনিট পনেরো ছিল দমচাপা রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তের। তবে শেষ ভাল যার, সব ভাল তার। ইতিহাসে শামিল হতে পেরে উচ্ছ্বসিত যুবরাজ মহম্মদ বিন জায়েদ আলিও। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। কয়েক দিন ধরেই শুরু হয়ে গিয়েছিল কাউন্ট ডাউন। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বাড়ি বুর্জ খলিফা-সহ দেশের ল্যান্ডমার্কগুলো সেজেছিল লাল আলোয়। এদিন ইতিহাস রচনার পরে অনেককে পথে নেমে এসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
[আরও পডুন: কেমন দেখতে মঙ্গল? লালগ্রহের মাটি ছোঁয়ার আগেই ছবি পাঠাল চিনা মঙ্গলযান তিয়ানওয়েন-১]
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ছাড়াও চিন, আমেরিকার দু’টি মহাকাশযানও এর মধ্যেই এসে পৌঁছবে মঙ্গলে। আসলে লালগ্রহ ও পৃথিবী খুব কাছাকাছি আসার বিষয়টির দিকে খেয়াল রেখেই গত জুলাই মাসে মঙ্গল মিশন শুরু করে এই তিন দেশ। আজই চিনের মহাকাশযানটি মঙ্গলের কক্ষপথেও ঢুকে পড়বে। আগামী মে মাস পর্যন্ত সেটি চক্কর কাটবে কক্ষপথে। তারপরে এর রোভার আলাদা হয়ে গ্রহটির পৃষ্ঠে অবতরণ করে সেখানে জীবনের চিহ্ন খোঁজার চেষ্টা করবে। এদিকে ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে মার্কিন মহাকাশযানও। তিন দেশের মহাকাশযানের তোলা ছবি ও অন্যান্য তথ্য থেকে মঙ্গল সম্পর্কে আরও অজানা কোনও দিক উঠে আসে কি না, সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সারা পৃথিবীর মহাকাশপ্রেমীদের।