সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Unifrom Civil Code) চালু হলেও কারও ধর্মাচরণের স্বাধীনতায় আঘাত করা হবে না। কোনও ধর্মের ধর্মীয় রীতিতেই বাধা দেওয়া হবে না। যাবতীয় আশঙ্কা উড়িয়ে আশ্বস্ত করলেন আইন কমিশনের প্রধান ঋতুরাজ অবস্তি। তিনি বলছেন, আমরা একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই, কোনওভাবেই কারও ধর্মীয় রীতিতে হস্তক্ষেপ করা হবে না।
২০২৪ লোকসভা নির্বচনের আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার তোড়জোড় শুরু করেছে কেন্দ্র। আইন কমিশনের উপর ভার গিয়েছে সমাজের সব শ্রেণির আলোচনা করে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া প্রস্তুত করার। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সাধারণ নাগরিকদের পরামর্শ চেয়েছে আইন কমিশন। প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ, সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছে। সেই সব খতিয়ে দেখে এখন আইন কমিশন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া তৈরির কাজ করছে।
[আরও পড়ুন: ‘দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে’, ‘মিশন দিল্লি’র আগে ভারচুয়াল বার্তা দেবেন অভিষেক]
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আলোচনা শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন মহলে একটা আশঙ্কার জায়গা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ও আদিবাসীার নিজেদের ধর্মীয় রীতি এবং সংস্কৃতি ‘রক্ষা’ নিয়ে চিন্তিত। তাদের আশ্বস্ত করে আইন কমিশনের চেয়ারপার্সন জানালেন,”এত মানুষ নিজেদের মতামত দিয়েছেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে যে, সবটা খতিয়ে দেখতে সময় লাগছে। শুধু ভারত থেকে নয়, বিদেশ থেকেও মানুষের মতামত এসেছে। সবটা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে আমরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত, কারও ধর্মে আঘাত করা হবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে’, ‘মিশন দিল্লি’র আগে ভারচুয়াল বার্তা দেবেন অভিষেক]
বিজেপির (BJP) বক্তব্য, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকবে। লিঙ্গবৈষম্য দূর হবে। মহিলারা শক্তিশালী হবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এর ফলে সংবিধানের (Constitution of India) মূল ভাবধারা বজায় থাকবে। ‘একটি রাষ্ট্রে দুই প্রধান, দুই নিশান ও দুই বিধান থাকতে পারে না।’ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এই বাক্যবন্ধ বিজেপির নীতি নির্ধারণে স্পষ্ট।