সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিরিয়ডের যন্ত্রণায় কী করুণ হাল হয়, তা নারীরাই বোঝেন। আর এই অসহ্য ব্য়থা থেকে মুক্তি পেতে গর্ভনিরোধক ওষুধ খায় ১৬ বছরের কিশোরী। যার ফল হয় মারাত্মক। বেঘোরে প্রাণ গেল তার।
১৬ বছরের ল্যায়লা খান ছিল ব্রিটেনের বাসিন্দা। একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত মাসে ঋতুস্রাবের মারাত্মক যন্ত্রণায় ভুগছিল সে। পেটব্যথায় রীতিমতো কাহিল হয়ে পড়ে। কীভাবে ব্যথা কমবে, ভেবেই পাচ্ছিল না ল্যায়লা। তার বন্ধুরা পরামর্শ দেয়, গর্ভনিরোধক ওষুধ খেলে যন্ত্রণা কমতে পারে। বন্ধুদের কথামতোই গত ২৫ নভেম্বর ওই ট্যাবলেট নিতে শুরু করে ল্যায়লা। কিন্তু ৫ ডিসেম্বর থেকেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করে সে। অসহ্য মাথা যন্ত্রণা হয় তার। এরপর প্রতি আধ ঘণ্টায় বমি হতে থাকে। চিন্তিত পরিবার ল্যায়লাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে পেটব্যথার ওষুধ দেন।
[আরও পড়ুন: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কলকাতায় ডেকে অপহরণ! একবছর পর গ্রেপ্তার মূলচক্রী]
ডাক্তাররা পরামর্শ দেন, যদি ওষুধে ব্যথা না কমে, তাহলে হাসপাতলে ভর্তি করতে হবে ল্যায়লাকে। কিন্তু ব্যথা কমার কোনও লক্ষণই দেখা যায়নি। উলটে যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায় তার। এরও কদিন পর বাড়ির শৌচালয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায় ল্যায়লা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সিটি স্ক্যানের পর জানা যায়, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছে তার। গত ১৩ ডিসেম্বর মাথায় অস্ত্রোপচার হয় তার। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। ল্যায়লাকে ব্রেন-ডেড ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গোটা ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে নাবালিকার পরিবার। ঠিক মতো রোগ চিহ্নিত না করায় ভুল চিকিৎসার জন্যই মৃত্যু হয়েছে ল্যায়লার বলে অভিযোগ তাঁদের। তবে ল্যায়লার মরনোত্তর দেহদানে প্রাণ পাচ্ছে পাঁচজন।
তবে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া ব্যথা প্রশমনের জন্য গর্ভনিরোধক ওষুধ না খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।