সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটানা ১৩ বছর রোগশয্যায় ছিলেন প্রৌঢ়া। উপার্জন ক্ষমতা ছিল না। এমনটাই জানত ইংলিশ কাউন্টি কাউন্সিল (English County Counsil)। ফলে সরকারি নিয়মে কাউন্সিলের স্বাস্থ্য খাত থেকে সংসার চালানো ও চিকিৎসা খরচের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ সাহায্য বরাদ্দ হয়। তেরো বছরে সেই অর্থ সাহায্যের পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি টাকা। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, আদৌ অসুস্থ ছিলেন না ওই প্রৌঢ়া। অসুস্থতার ভান করে কাউন্সিলকে প্রতারণা (Fraud) করেছেন তিনি। আদালতে মামলা করে কাউন্টি কাউন্সিল। দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রৌঢ়া। তাঁকে ৪ বছর ৯ মাসের জেলের সাজা শুনিয়েছে বিচারক।
দিনের পর দিন কাউন্টি কাউন্সিলকে ঠকিয়ে চমকে দিয়েছেন ৬৬ বছরের ফ্রান্সেস নোবেল (Frances Noble)। ২০০৫ সালে তিনি কাউন্সিলকে নিজের রোগশয্যার কথা জানিয়ে আবেদন করেন। এর জন্য চিকিৎসা বিষয়ক যাবতীয় ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করেন। নিয়ম মতো তার আবেদন গ্রহণ করে কাউন্সিল। এবং প্রতি বছর মোটা টাকা অর্থ সাহায্য বরাদ্দ হয় তাঁর জন্য। এই জালিয়াতি চলতে থাকে ২০১৮ সাল অবধি। ওই বছরেই প্রথমবার কাউন্সিল খবর পায়, ওই অর্থ চিকিৎসা বা সংসার খরচ নয়, বরং বিলাসিতায় খরচ করছেন প্রৌঢ়া। সম্প্রতি আমেরিকায় বিলাসভ্রমণ যান ফ্রান্সেস।
[আরও পড়ুন: ৫ বছর খুঁজেও জোটেনি পাত্রী! বউ পেতে শহরজুড়ে বিজ্ঞাপন দিলেন ইঞ্জিনিয়ার]
ইংল্যান্ডের একটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, কাউন্সিলের স্বাস্থ্য প্যাকেজের টাকা প্রৌঢ়া নিজে যেমন ওড়ান, তেমন তাঁর মেয়ে-জামাইও নিয়মিত বিলাসভ্রমণ করতেন। তাঁরা ওই ১৩ বছরে ক্যানাডা ও আমেরিকাতে বেশ কয়েকবার লম্বা ভ্রমণ করেন। এমনিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী সব ঠিক চলছিল। কিন্তু একদিন ভোরে পোষ্য কুকুরকে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরোনোই কাল হয় প্রৌঢ়ার। প্রতিবেশীরা দেখেন, তিনি গটগট করে হেঁটে যাচ্ছেন। সেই খবর পৌঁছায় কাউন্সিল সদস্যদের কানে। এরপর থেকেই নজর রাখা হচ্ছিল প্রৌঢ়ার উপরে। তাতেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: OMG! নদীর জলে তলিয়ে যাওয়ার ১০ মাস পরেও দিব্যি চলছে iPhone]
এরপর কাউন্সিল অর্থ সাহায্য বন্ধ করে তো বটেই, এইসঙ্গে মামলা দায়ের করে ফ্রান্সেস নোবেলের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই দোষী প্রমাণিত হলেন তিনি। তাঁকে ৪ বছর ৯ মাস জেলের সাজা দিয়েছে আদালত। যদিও এরমধ্যেই ইংল্যান্ডের আইনের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে কাউন্টি কাউন্সিল মামলা করতেই তিনি জার্মানিতে পালিয়ে যান। বর্তমানে সেখানকারই বাসিন্দা প্রৌঢ়ার মেয়ে-জামাই।