সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ভ্যাকসিন ভারতে বাজারজাত করার অনুমতি চেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute)। তবে এখনও মেলেনি সবুজ সংকেত। এহেন সময়ে ‘লালফিতা’র জটের আশঙ্কা উড়িয়ে সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, জানুয়ারির শুরুর দিকেই অক্সফোর্ডের টিকা প্রয়োগে ছাড়পত্র দেবে ব্রিটেন। তারপরই প্রতিষেধকটির প্রয়োগে ছাড়পত্র দিতে পারে ভারত সরকার।
[আরও পড়ুন: চূড়ান্ত গাফিলতি! ডাক টিকিটে কুখ্যাত মাফিয়া ছোটা রাজনের ছবি, তদন্তে ডাকবিভাগ]
সোমবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম নিউমোনিয়া টিকার উদ্বোধন করে পুনাওয়ালা বলেন, “দেরি নিয়ে আমরা মোটেও উদ্বিগ্ন নই। কোভিশিল্ড টিকার ট্রায়ালের সমস্ত তথ্য ব্রিটেন ও ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। যারা এই টিকার মান যাচাই করছেন তাঁদের সম্মান জানানো উচিত। কারণ কেউই চায় না যে সুরক্ষায় কোনও গলদ থাকুক। তাই আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করা উচিত।” বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভারতে লালফিতের জটে আটকে বহু প্রকল্পই গতি হারিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেতেও কোনও সংস্থাকে সেসবের মোকাবিলা করতে হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, সেরামের তৈরি টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই আরও সতর্ক কেন্দ্র সরকার। ফলে টিকা বাজারজাত করার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছুটা সময় লাগছে। আর এসব ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি না করে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াই উচিত।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ফর্মুলায় ভারতে কোভিশিল্ড টিকা বানিয়েছে সেরাম। কয়েকদিন আগেই ‘মিথ্যা’ মামলা মোকদ্দমা থেকে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা। টিকা তৈরির ক্ষেত্রে আসা আইনি জটিলতা ও মানুষের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা ও ভয়ের কথা উল্লেখ করে পুনাওয়ালার বক্তব্য, এই মুহূর্তে দেশ ভয়ংকর স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি মরিয়া হয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। কিন্তু এহেন সংকট কালেও এক শ্রেণির লোক মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কোনও নির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই মামলা ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিনে জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে বলে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। বেশিরভাগ ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলিই এহেন অপপ্রচারের শিকার। অথচ, ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলি সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে তবেই টিকার ট্রায়ালে সবুজ সংকেত দেয়। প্রাণহানির সামান্যতম আশঙ্কা থাকলে কখনওই টিকা সামনে আনা হত না। কিন্তু অপপ্রচারের ফলে জটিলতা তৈরি হচ্ছে।