সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসখানেক আগেই ব্রিটেনের (UK) প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। কিন্তু এই অল্প সময়েই তিনি টের পাচ্ছেন রাজমুকুটে কাঁটার ভার কতটা! তিনি ক্ষমতায় আসার পর সেদেশে হওয়া প্রথম নির্বাচনে হারতে হল ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিকে। উত্তরপশ্চিম ইংল্যান্ডের চেস্টারের আসনটির জন্য হওয়া ওই ভোটে লেবাররা জিতেছে ৬১ শতাংশ ভোট পেয়ে। বিরোধী দলের নেতা কিয়ার স্টার্মারের দাবি, এই ফলাফল দেখিয়ে দিচ্ছে মানুষ সুনাক প্রশাসনের উপরে কতটা বীতশ্রদ্ধ।
গতবার এই আসনে জিতেছিল লেবাররাই। কিন্তু সেবার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫০ শতাংশ। এবার তা আরও বেড়েছে। লেবার লমেকার ক্রিস্টিয়ান ম্যাথেসন যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ইস্তফা দেওয়ার পরে সেই আসনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। দেখা যায় যাবতীয় বিতর্ক সত্ত্বেও লেবারদের জনপ্রিয়তা এই আসনে এখনও অটুট।
[আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে যুবসমাজ, কলকাতায় সমস্ত হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ পুরসভার]
এই ফলাফল মাত্র একটি আসনের হলেও এতেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। বিতর্কে জড়িয়ে বাধ্যতই আসন ছাড়তে হয়েছিল বরিস জনসনকে। লিজ ট্রসও বেশিদিন থাকতে পারেননি চেয়ারে। ঋষি সুনাক ক্ষমতায় আসার পরই নজ দিয়েছিলেন দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার। কিন্তু এতদসত্ত্বেও এই মাসদেড়েক সময়ের মধ্যে তিনি কোনও ‘ম্যাজিক’ করতে পারেননি। বরং আরও ঝিমিয়ে পড়েছে ব্রিটেনের অর্থনীতি। আর এই পরিস্থিতিতে ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন কনজারভেটিভরা।
চেস্টারের নির্বাচনে জয়ী সামান্থা ডিক্সনের দাবি, কেবল চেস্টার নয়, গোটা ব্রিটেনই এই মুহূর্তে গভীর উদ্বেগে রয়েছে। কেননা সকলেই ভয় পাচ্ছেন, হয়তো তাঁরা যে কোনও সময় ঋণখেলাপী হয়ে যেতে পারেন। যার ধাক্কায় মাথার ছাদ খোয়াতে হতে পারে।
[আরও পড়ুন: তালিবানের কবলে যেন না পড়ে মেয়ে, বাধ্য হয়ে এই পথ বেছে নিচ্ছেন আফগান অভিভাবকরা]
তবে এই ফলাফলকে বিরাট কিছু গুরুত্ব দিতে কিন্তু রাজি নন অনেক বিশেষজ্ঞই। তাঁদের মতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলকে এতটা ইঙ্গিতবাহী ভাবার প্রয়োজন নেই। পরবর্তী নির্বাচন ২০২৪ সালে। তার আগে গুছিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় পাবেন ঋষি সুনাক। তবে এই সময়কালে দেশবাসীকে বোঝাতে হবে, তাঁদের সংকট থেকে বাঁচাতে সুনাকের প্রশাসনই সেরা। আপাতত সেদিকেই ফোকাস করতে চাইছেন কনজারভেটিভরা।