সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে চার দিন হয়ে গেল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের (Russia-Ukraine War)। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল, যেহেতু আমেরিকা-সহ ন্যাটো সামরিক জোটের কোনও দেশই সেনা পাঠায়নি, তাই সহজেই ইউক্রেন দখল করে নেবে রাশিয়া। কিন্তু সেই জল্পনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে ইউক্রেনের সেনা। প্রথম থেকেই তারা পালটা আঘাত শানিয়েছে। এই অভাবনীয় প্রতিরোধে বেকায়দায় পুতিন (Putin)। রবিবার খারকভের (Kharkiv) গভর্নর দাবি করলেন, রুশ সেনার থেকে খারকভ পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনের সেনা। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে একথা জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে প্রথমবার রুশ সেনা ঢুকে পড়েছিল ইউক্রেনে। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে, ততই প্রতিরোধ জোরদার হয়েছে ইউক্রেনের। কেবল সেনাই নয়, সাধারণ মানুষও অংশ নিয়েছেন যুদ্ধে। এবার তারা দুরন্ত প্রত্যাঘাত করে ফের রুশ সেনার থেকে ছিনিয়ে নিল খারকভ শহর।
[আরও পড়ুন: ওষুধ সংস্থার কর্মী সেজে কোটি টাকার প্রতারণা! কলকাতা পুলিশের জালে নাইজেরিয়ার যুবক]
উল্লেখ্য, শুক্রবারই কিয়েভে ঢুকে পড়লেও এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের রাজধানী দখল করে উঠতে পারেনি পুতিনের সেনা। এরই মধ্যে, শোনা যাচ্ছে খারকভও বেহাত হয়ে গিয়েছে। যদি গভর্নরের দাবি সত্যি হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে রুশ সেনার জন্য যে তা এক চরম দুঃসংবাদ তাতে সন্দেহ নেই।
এদিকে এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে দু’পক্ষেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এর আগে বৈঠকে বসার প্রস্তাব উড়িয়ে দিলেও এবার অবশ্য সম্মতি জানিয়েছে ইউক্রেন। কিন্তু বাধ সেধেছে আলোচনাস্থল। রাশিয়ার প্রস্তাবিত বৈঠকস্থ নিয়ে ঘোর আপত্তি কিয়েভের। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে আলোচনা নিয়ে আগ্রহী তারা।
[আরও পড়ুন: আনিস কাণ্ডে এবার পথে TMCP, সিট’কে ধন্যবাদ জানাতে কলকাতায় হবে মিছিল]
কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতে বেলারুশে বৈঠকে বসবে না তারা। কোথায় কোথায় আলোচনা হতে পারে, তাও জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ওয়ারশ, ব্রাতিস্লাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তানবুল, বাকুতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন জেলেনস্কি। এখন তাঁর প্রস্তাবে মস্কো রাজি হয় কিনা সেটাই দেখার। তবে শেষ পর্যন্ত বৈঠক হোক বা না হোক, বারবার পুতিনের তরফে বৈঠকে বসার প্রস্তাব থেকে পরিষ্কার। অস্বস্তিতে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও।
(শীর্ষ ছবি সৌজন্য: এফপি)