সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রাশিয়ার রণতরী ধ্বংস করল ইউক্রেন। রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়ার ফিওদোসিয়া বন্দরে যুদ্ধ জাহাজ নভোচেরকাস্কে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছ রাশিয়া। বিশ্লেষকদের মতে, এইবারও কিয়েভের হাতিয়ার নেপচুন মিসাইল। যার আঘাতে ২০২২ সালে সলিল সমাধি ঘটেছিল রুশ নৌসেনার গর্বের রণতরী ‘মস্কোভা’র।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের বায়ুসেনা জানিয়েছে, নভোচেরকাস্ক নামের রুশ (Russia) যুদ্ধ জাহাজটিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাটিকে রাশিয়ার বড় ব্যর্থতা বলেও দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহৎ এই জাহাজটির ভয়ংকর ক্ষতির কথা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু। ক্রিমিয়ার গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের এই হামলায় ১ জন প্রাণ হারিয়েছে, ৪ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও ফিওদোসিয়ার ৬টি বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের কাছে বিস্ফোরণ, মিলল গাজায় হামলার ‘বদলা’র চিঠি!]
বলে রাখা ভালো, নভোচেরকাস্ক যুদ্ধ জাহাজটির সাহায্যে সৈন্য, ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি সরবরাহ করত রাশিয়া। কিয়েভের আশঙ্কা ছিল এই রণতরীর সাহায্যে ইরানে তৈরি বিস্ফোরক ড্রোনও পরিবহণ করত মস্কো। যেগুলো ইউক্রেনের (Ukraine) বুকে হামলা চালানোর জন্য ক্রমাগত ব্যবহার করছে রাশিয়া। যা ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাহিনী।
কী এই নেপচুন মিসাইল? এটি একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। যা বহু দূর পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। ২০২২ সালে এই মিসাইলের সাহায্যেই মস্কোভাকে ডুবিয়ে দিয়েছিল ইউক্রেনীয় ফৌজ। রণতরীটিতে আছড়ে পড়েছিল দুটি জাহাজ বিধ্বংসী নেপচুন মিসাইল। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে দ্বিখণ্ডিত হয়ে তলিয়ে যাওয়া যুদ্ধজাহাজটি। যা কৃষ্ণসাগরের ‘মৃত্যুদূত’ হিসাবে পরিচিত ছিল।