সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের কড়া সমালোচনা করল ইউক্রেন (Ukraine)। রাশিয়ার (Russia) থেকে তেল কেনার কারণেই কিয়েভের কটাক্ষের মুখে পড়তে হল নয়াদিল্লিকে। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবার দাবি, যেভাবে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে রাশিয়ার থেকে কম দামে তেল কিনছে, তা নৈতিক দিক দিয়ে অনুচিত।
এদিন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”ভারত যে সস্তায় রুশ তেল কেনার সুযোগ পাচ্ছে এর পিছনে কারণ হল ইউক্রেনের প্রতি রুশ আগ্রাসন। ইউক্রেনীয়রা প্রতিদিন রাশিয়ার হামলায় ধুঁকছে, মারা যাচ্ছে।” পাশাপাশি তাঁর আবেদন, ”যেহেতু আপনারা আমাদের ভোগান্তির কারণেই লাভবান হয়েছেন, তাই আপনাদের উচিত আমাদের দিকে আরও বেশি করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।”
[আরও পড়ুন: কিমের আপন দেশে…, দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রামা শো দেখার অপরাধে প্রাণদণ্ড দুই কিশোরকে!]
এদিকে পশ্চিমী দেশগুলিও রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় ভারতের সমালোচনা করেছে। এর প্রতিবাদ করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতের থেকে ৬ গুণ বেশি তেল কিনেছে রাশিয়ার থেকে। কেবল তাই নয়, তালিকায় থাকা পরবর্তী ১০টি দেশের কেনা তেলের সম্মিলিত পরিমাণও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিমাণের থেকে কম।
এদিন সেই প্রসঙ্গও শোনা গিয়েছে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীর মুখে। তাঁর মতে, ”ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে আঙুল তুলে বলা হচ্ছে, ওরাও তেল কিনছে। এমন দাবির কোনও কারণ নেই।” এখনও পর্যন্ত ভারতের তরফে ইউক্রেনের এমন দোষারোপের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে এদিন ইউক্রেনের তরফে ভারতের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরা হয়। দিমিত্র কুলেবা বলেন, ”ভারত বিশ্বের আঙিনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক খেলোয়াড়। এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীও। উনি যদি মুখ খোলেন পরিস্থিতির পরিবর্তন হতেই পারে।” তিনি এও দাবি করেন, কবে ভারত ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে এটা বলবে এটা যুদ্ধ নয়, আগ্রাসন তাঁরা সেই অপেক্ষায় রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: RBI নোটবন্দি বাতিল করলে মেনে নিত কেন্দ্র? সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নে অস্বস্তিতে মোদি সরকার]
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন একথা বললেও এসসিও সম্মেলনে কিন্তু মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলাদা করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বলেছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’ প্রতিবাদ করেছিলেন ইউক্রেনের প্রতি রাশিয়ার আচরণের।