সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিয়েভ দখল আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা! এর মধ্যেই শুক্রবার দুপুরের পর থেকে খোঁজ মিলছিল না ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির। মনে করা হচ্ছিল, প্রাণ বাঁচাতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে কপ্টারে চেপে নিরাপদ দেশে পালাবেন হয়তো। কিন্তু না। রাত গড়াতেই ভিডিও বার্তা দিলেন জেলেনস্কি। বললেন, “কোথাও যায়নি। এখানেই আছি। দেশকে রক্ষা করছি।” এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট কথা হয় জেলেনস্কির। সামরিক সাহায্য নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রধান।
ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে রুশ সেনা। আকাশপথে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে সেনাঘাঁটি। হামলা চালাচ্ছে প্যারা ট্রুপারসরা। সামরিক ট্যাংক, মিসাইল আর সেনার বুটের শব্দে কাঁপছে কিয়েভ। প্রতিরোধ ভেঙে রাজধানী কিয়েভেও ঢুকে পড়েছে পুতিনের বাহিনী। তার পরই বিভিন্ন সূত্রে খবর মিলছিল, জেলেনস্কিকে বাঙ্কারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ভিডিওতে দেখা গেল সেনাবাহিনীর মতোই জলপাই রঙের পোশাক পরে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। সঙ্গে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী, চিফ অফ স্টাফ-সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনেই থামবে রুশ আগ্রাসন? নাকি আরও বড় প্ল্যান পুতিনের? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা]
ইউক্রেনের (Russia-Ukraine Conflict) প্রতিরক্ষা বিভাগের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে জেলেনস্কির ভিডিওটি। সেখানে তিনি বলেছেন, আমরা সকলে এখানে আছি। আমাদের সেনা এখানে আছে। আমরা সকলে আমাদের দেশ, আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করছি।” বার্তা দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, রাশিয়া যতই সেনা অভ্যুত্থানের উসকানি দিক ইউক্রেনের সেনা দেশকে রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর প্রাণের ভয় থাকলেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন প্রেসিডেন্টও।
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইউক্রেন জুড়ে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। মিসাইল হানায় কেঁপে উঠছে শহর। চলছে গুলির লড়াইও। একাধিক প্রশাসনিক ভবনের দখল নিয়েছে রুশ সেনা। উড়ছে রাশিয়ার পতাকাও। সূত্রের খবর, কৃষ্ণ সাগরে রোমানিয়ার পর জাপানের জাহাজেও হামলা করেছে রুশ বাহিনী। এদিকে রাশিয়াতে আংশিকভাবে ফেসবুক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।