সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে সত্যি হল আশঙ্কা। শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine Conflict)। মস্কোর ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে কিয়েভে। পালটা মার দিচ্ছে ইউক্রেনও। রুশ বিমান ও হেলিকপ্টার গুলি করে নামাতে দেখা গিয়েছে তাদের। এহেন পরিস্থিতিতে লড়াই থামাতে ভারতের সাহায্য চাইল ইউক্রেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করেছে দেশটি।
[আরও পড়ুন: রুশ চক্রব্যূহে ইউক্রেন, তিনদিক থেকে হামলা পুতিন বাহিনীর, প্রাণ গেল ৭ নাগরিকের]
বৃহস্পতিবার, ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ড. ইগর পোলিখা বলেন, “আমি জানি না কতজন রাষ্ট্রনেতার কথা পুতিন শুনবেন। কিন্তু আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে ধ্বনি তুললে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন পুতিন।” তিনি আরও বলেন, “এক্ষেত্রে ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই আলোচনা চালাতে পারে ভারত। অতীতেও শান্তিরক্ষার কাজ করেছে ভারত। এই মুহূর্তে আমরা ভারতের সাহায্য চাইছি। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বিশ্বের প্রতি দায়িত্ব পালন করুক ভারত।”
উল্লেখ্য, ইউক্রেন নিয়ে উভয় সংকটে রয়েছে নয়াদিল্লি বলেই মত বিশ্লেষকদের। কারণ, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক এবং তা অত্যন্ত মজবুত। সোভিয়েত জমানা থেকেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত বিপুল সংখ্যায় রুশ অস্ত্র কেনে। দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কও অত্যন্ত শক্তিশালী। সেই সম্পর্ক কিছুতেই নষ্ট করতে চায় না মোদি সরকার। তাই আমেরিকা সুর চড়ালেও এখনও ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত। অন্যদিকে, বাণিজ্য-সহ একাধিক বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউক্রেনের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। ফলে এই মুহূর্তে নীতি নির্ধারণ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে মোদি সরকারকে।
[আরও পড়ুন: কেন ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া? জেনে নিন পাঁচটি কারণ]
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Purin) সেনা অভিযানের ঘোষণা করার কিছুক্ষণের মধ্যেই পূর্ব ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক প্রদেশের বন্দর শহর মারিউপোল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর পর ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকভ ও কিয়েভ থেকেও বিস্ফোরণের খবর মিলেছে।