সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মন্ত্রী থাকাকালীন গঙ্গার উপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করেছিলাম। হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রকে সে কথা জানিয়েওছিলাম।’ উত্তরাখণ্ডে প্রলয়ের পর বিস্ফোরক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী (Uma Bharati)। দেবভূমের প্রলয়ে (Uttarakhand) কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে তপোবন বাঁধ। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।
রবিবারের হিমবাহ ধসে ফের তছনছ হয়ে গিয়েছে দেবভূমের একাংশ। আর এই বিপর্যয়কে প্রকৃতির কড়া সতর্কবার্তা বলে মনে করছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর একাধিক টুইট করেন উমা ভারতী। বলেন, “হিমবাহ ধস শুধুমাত্র উদ্বেগজনক নয়, বরং একে চরম হুঁশিয়ারি হিসেবেও দেখা উচিত।” একইসঙ্গে জানান, গঙ্গা ও তার প্রধান শাখা নদীগুলির উপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন : উত্তরাখণ্ডের ধসে দেড়শো জনের মৃত্যুর আশঙ্কা! ইতিমধ্যেই উদ্ধার ১০টি দেহ]
উমা ভারতীর কথায়, “আমি মন্ত্রী থাকাকালীন হিমালয় উপত্যকার গঙ্গায় বাঁধ তৈরি নিয়ে হলফনামা জমা করেছিলাম। সেই হলফনামায় মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, হিমালয় উপত্যকা খুব স্পর্শকাতর এলাকা। পাশাপাশি, গঙ্গা ও তার মূল শাখা নদীগুলির উপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করতে নিষেধ করেছিলাম।” প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন প্রথম মন্ত্রিসভার জলসম্পদ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন উমা ভারতী। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে যখন কাটাছেঁড়া চলছে, ঠিক তখনই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এহেন মত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হয়েছিল রাজ্য পরিচালিত এনটিপিসির তত্ত্বাবধানে। করচ হয়ে্ছিল প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। হিমবাহে ধসের জেরে এই প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ১৭০ জন।