সুকুমার সরকার: রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য ফের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল রাষ্ট্রসংঘ। অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কান্টিজ ((OIC) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) -এর দেশগুলির পক্ষ থেকে বুধবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। তারপরই ১৩২ সদস্য দেশ রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধানের পক্ষে ভোট দেয় আর বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৯টি। ২১টি দেশের প্রতিনিধি অনুপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার হরোহিঙ্গাদের বিষয়ে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি (permanent mission of Bangladesh) রাবার ফাতিমা একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১০ লক্ষের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ধারাবাহিক ও শান্তিপূর্ণভাবে এই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজছে। এই বছর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক রয়েছে। যা রোহিঙ্গা-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত (ICJ) নির্দেশ মেনেই করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আহ্বান জানিয়ে ছিলেন এই সিদ্ধান্ত তাকেই মান্যতা দিয়েছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সমস্যার সমাধান হবে।
[আরও পড়ুন: বিপাকে বেজিং, হংকংয়ে চিনা দমন নীতির বিরুদ্ধে সরব আন্তর্জাতিক মঞ্চ]
রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বুধবার যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তাতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সাময়িক আদেশ, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের তদন্ত শুরুর বিষয় এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যাালঘুদের মায়ানমারের জাতীয় নির্বাচন-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বঞ্চিত করার মতো নতুন বিষয়গুলি রয়েছে। মায়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি এই সমস্যাটির মূল কারণ খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও স্থায়ীভাবে বসবাসের স্থান তৈরিতে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের উপর যারা অত্যাচার চালিয়েছিল তাদের শনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার কথার কথাও বলেছে রাষ্ট্রসংঘ।